এক নারীর বহুমুখী প্রতারণার খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন চট্টগ্রামের একাধিক মানুষ। সরকারি চাকরি বা গ্যাস-বিদ্যুতের লাইন দেয়াসহ যেকোনো সমস্যা সমাধানের কথা বলে মমতাজ বেগম নামের ওই নারী হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল অর্থ। কখনও বড় কর্মকর্তা, কখনও রাষ্ট্রপতির মেয়ের বান্ধবী এমন সব ভুয়া পরিচয় দিয়ে কৌশলে মানুষকে ফাঁদে ফেলতেন মমতাজ। অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এই প্রতারক।
ভুক্তভোগীদের দাবি, কখনো বাংলাদেশ বিমানের আবার কখনো পিডিবির বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন মমতাজ। রাষ্ট্রপতির মেয়ের সাথে সখ্যর ভুয়া গল্প বলে সুবিধা নিতেন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছ থেকেও। তবে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ফাঁস হয়েছে সব জারিজুরি।
এ নিয়ে সিএমপির ডিসি (ডিবি,বন্দর জোন) আলী হোসেন বলেন, বিমান কর্মীদের ইউনিফর্ম ভুক্তভোগীদের দিতো মমতাজ, অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও দিতো। তাদের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে এই মর্মে অনেক সময় বিমানে করে তাদের নিয়ে ঢাকায় যাওয়া আসাও করতো মমতাজ।
মিষ্টি কথা বলে কৌশলে ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস অর্জন করতেন মমতাজ। তারপর চাকরি দেয়ার কথা বলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল অর্থ। আলী হোসেন বলেন, তাদেরকে দেখাতো, আপনার চাকরি হয়েছে, এখন আমাকে টাকা দিতে হবে। এরপর তাকে টাকা দিলে কয়েকজনের টাকা একসাথে নিয়ে পালিয়ে যেতো।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন পরিচয়পত্র নিজেই বানাতেন এই নারী। উচ্চ বেতনের চাকরি দেয়ার কথা বলে ধরিয়ে দিতেন এসব কার্ড। প্রতারিতদের একেকজন ৩ থেকে ২১ লাখ টাকা করে দিয়েছেন এই নারীকে। ২০১৮ সালেও প্রতারণার মামলায় চট্টগ্রাম বন্দর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মমতাজ। কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার জড়িয়ে পড়েন একই কাজে।
এসজেড/

