Site icon Jamuna Television

আগ্নেয়গিরির বিধ্বংসী অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ২৫, আহত ৩০০

ইংরেজিতে তার নামের অর্থ ‘আগুন’। সত্যিই সে আগুন ঝরাচ্ছে। গতকাল রোববার থেকে চলছে তার অগ্ন্যুৎপাত। আজ সোমবার পর্যন্ত সেই উদগীরণে মারা গিয়েছেন ২৫ জন, জখম হয়েছেন আরও অন্তত ৩০০ জন। দমকলবাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। এই অগ্ন্যুৎপাতে দেশের অন্তত ১৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।

চার দশক পরে জেগে উঠেছে গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি। এই ‘ফুয়েগো’ শব্দের অর্থ ‘আগুন’। এই নিয়ে এই বছরেই দ্বিতীয় বার অগ্ন্যুৎপাত হল এই আগ্নেয়গিরি থেকে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গল গল করে বেরিয়ে আসছে জ্বলন্ত লাভা স্রোত। বেরিয়ে আসছে ছাই। লাভা স্রোত গড়িয়ে গিয়েছে অন্তত ৮ কিলোমিটার। চারদিক ঘন কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। ছাই আর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে রাজধানী ও তার লাগোয়া অঞ্চলও।

“দেখে মনে হচ্ছে যেন লাভার নদী। দু’কূল ছাপিয়ে ছুটছে। আর তার কবলে পড়েছে এল রোদেও গ্রাম। অধিবাসীরা আগুনের হাত থেকে বাঁচার জন্য অসহায় হয়ে ছোটাছুটি করছেন। এরই মধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে অনেকে মারা গিয়েছেন, বহু মানুষ আহত হয়েছেন” – বলেছেন গুয়াতেমালার জাতীয় বিপর্যয় প্রতিরোধ সংস্থা ‘কোনরেদ’-এর ডিরেক্টর সেরগিও গার্সিয়া কাবানাস।

দমকলবাহিনীর মুখপাত্র মারিও ক্রুজ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩১০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মৃতদের মধ্যে এক জন ‘কোনরেদ’-এর কর্মী বলে জানিয়েছেন কাবানাস। তিনি বলেন, “এল রোদেও গ্রাম যেন লাভাস্রোতে চাপা পড়েছে। আর জ্বলন্ত লাভার জন্য ‘লা লিবেরতাদ’ গ্রামে আমরা তো পৌঁছোতেই পারিনি। সেখানেও নিশ্চয় বহু লোক মারা গিয়েছে।”

লাভা স্রোতের জন্য রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির লা অরোরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একমাত্র রানওয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের কিছু অংশে জরুরি অবস্থা জারি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস।

Exit mobile version