শস্য রফতানির প্রস্তুতি সম্পন্ন, তুরস্ক ও জাতিসংঘের সংকেতের অপেক্ষায় ইউক্রেন

|

তুরস্কের সবুজ সংকেত কি মিলবে?

আজ-কালের মধ্যেই ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে যাবে শস্যবাহী জাহাজ। প্রথম চালান পরিবহনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশটি। এখন কেবল জাতিসংঘ আর তুরস্কের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা। কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর চোরনোমোরস্ক পরিদর্শনে গিয়ে একথা জানান প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। শস্য রফতানিতে রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে।

৬ লাখ টন কার্গো নিয়ে তৈরি ১৭টি জাহাজ। দু’একদিনের মধ্যেই তুর্কি জাহাজগুলো শস্যের প্রথম চালান নিয়ে ইউক্রেনের বন্দর ছাড়বে। প্রথম দফা পরিবহন শুরু হবে চোরনোমোরস্ক বন্দর থেকে। এরপর ওডেসা ও সবশেষে চালু হবে পিভদেনি বন্দর। সব মিলিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে পণ্য রফতানির জন্য প্রস্তুত হবে বন্দরগুলোর প্রতিটি টার্মিনাল। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সরেজমিনে দেখতে শুক্রবার (২৯ জুলাই) চোরনোমোরস্ক সফর করেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, আমাদের দিক থেকে সব প্রস্তুতি নেয়া শেষ। তুরস্ক ও জাতিসংঘ যখনই সিগন্যাল দেবে প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমার বিশ্বাস, আজকালের মধ্যেই শুরু হবে কার্যক্রম। আমি যে তুর্কি নৌযানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, এটা শস্য বোঝাই করা হয়েছে। বন্দরের কর্মীরা কাজে ফিরেছে, এটাই সবচেয়ে আনন্দের বিষয়। আশা করছি সব পক্ষ প্রতিজ্ঞা রাখবে। যাতে নিরাপদে পণ্য পরিবহন করা যায়।

শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের কেন্দ্রে ছিল শস্য রফতানি ইস্যু। রুশ-ইউক্রেন চুক্তির সাধুবাদ জানিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। বৈঠকে রুশ প্রতিনিধি দিমিত্রি পোলিয়ানস্কের দাবি, মস্কোকে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের জন্য দায়ী করা কতটা অযৌক্তিক, সেটাই প্রমাণিত হয় চুক্তির মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, তুরস্ক ও জাতিসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা যে, তারা এই ইস্যুতে পশ্চিমাদের প্রতিনিধি হিসেবে ভূমিকা নেয়নি। আর সে কারণেই চুক্তি সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি এটাই প্রমাণ করে যে, বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের জন্য আমাদের দেশ নয়, পশ্চিমাদের পদক্ষেপই দায়ী।

গত ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় দেশটির কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো। আটকা পড়ে ২০ মিলিয়ন টনের বেশি শস্য। তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই ইস্তাম্বুলে চুক্তি স্বাক্ষর করে মস্কো-কিয়েভ। সব পক্ষের নজরদারিতে তুর্কি জলসীমা হয়ে পার হবে পণ্যবাহী নৌযান। পর্যবেক্ষেণে থাকবেন ইউক্রেন, রাশিয়া, তুরস্ক আর জাতিসংঘের মোট ২০ জন প্রতিনিধি।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের কারাগারে রকেট হামলা: মস্কো-কিয়েভের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply