Site icon Jamuna Television

কী ঘটেছিল সেদিন, জানালেন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা জুনায়েদ

মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। তারা কোচিং সেন্টার থেকে শিক্ষাসফরে গিয়ে খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনার মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটির চালক জহরুল হক খান বলেন, গাড়িটি ট্রেনের সামনে হঠাৎ করে চলে আসে। যে মুহূর্তে মাইক্রোবাসটি ট্রেনলাইনে ওঠে, তার দুই-তিন সেকেন্ডের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা জুনায়েদও জানালেন একই কথা। গাড়ির চালক ট্রেনটি না দেখেই লাইনে উঠে যান। এ ঘটনায় সংঘর্ষের সাথে সাথেই পেছনের দিকে থাকা সবাই গাড়ি থেকে পড়ে যান। এসময় ছিটকে পড়ায়ই তিনি বেঁচে যান বলে জানান তিনি।

জুনায়েদ জানান, ঘটনার সময় রেললাইনে কোনো ব্যারিকেড দেয়া ছিল না। গেটম্যান উপস্থিত ছিল কিনা জানতে চাইলে জুনায়েদ জানান, সেখানে কোনো মানুষই ছিল না। দুর্ঘটনার জন্য জুনায়েদ ওই গেটম্যানকে দায়ী করেন। বলেন, তাদের দায়িত্বে খামখেয়ালির জন্যই আমার বন্ধুরা চলে গেছে। বলেন, আমার স্যারও চলে গেছেন এ কারণেই।

ট্রেনচালক জহরুল হক খান বলেন, ওই সময় গেটম্যান উপস্থিত ছিল কিনা তা তিনি বলতে পারছেন না। তবে সে থাকলে এই দুর্ঘটনা হয়তো ঘটতো না। এ ঘটনার জন্য মাইক্রোবাসটির চালকের খামখেয়ালিকেও দায়ী করেন ট্রেনচালক। বলেন, তার অবশ্যই ডানে-বামে দেখে রেললাইন ক্রস করা উচিত ছিল। সেটা না করায়ই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ট্রেনচালক বলেন, দুর্ঘটনার সময় আমাদের কিছুই করার ছিল না। তাছাড়া গাড়িটিও লাইন থেকে সরার সময় পায়নি। এত অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে, সেখানে সামান্য চিন্তারও অবকাশ পাওয়া যায়নি। চালক জানান, সংঘর্ষের পর গাড়িটি ট্রেনের সাথে আটকে যায়। এরপর সেটিকে কিছুদূর টেনে নিয়ে যাওয়ার পর ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হন তিনি।

শুক্রবার দুপুরে মিরসরাইয়ের বরতাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখে ফেরার সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ হয় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসটির।

/এডব্লিউ

Exit mobile version