Site icon Jamuna Television

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান আনছে ব্রিটিশ কোম্পানি

বিমানটির প্রস্তাবিত নকশা। ছবি: সংগৃহীত।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান ‘এয়ারল্যান্ডার ১০’ নির্মাণ করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান হাইব্রিড এয়ার ভেইকেলস বা এইচএভি। সাধারণ বিমানের চেয়ে এতে ক্ষতিকর কার্বন নিঃসরণ কমবে ৯০ শতাংশ। বিমানটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে ২০২৬ সালে। বলা হচ্ছে, উড়জাহাজারের ধারণাই পাল্টে দেবে বিশেষ এই মডেল। বিমান খাত প্রবেশ করবে নতুন যুগে। এই বিমানের সংক্ষেপে নামকরণ করা হয়েছে ‘ফ্লাইং বাম’। খবর বিবিসির।

এইচএভি এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রায় দু’টি বিমানের সমান আকৃতি হবে এই বিমানের। ৩০০ ফুট দীর্ঘ বিশাল এই বিমান যাত্রী বহনের পাশাপাশি কার্গো হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। বিমানে একই সাথে বহন করা যাবে ১০ টন মালামাল এবং শতাধিক যাত্রী।

হাইব্রিড এয়ার ভেইকেলসের সিইও টম গ্রান্ডি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান হবে এটি। এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে একসাথে ১০ টম মালামাল এবং একশজন যাত্রী চড়তে পারবেন। এছাড়া অন্যান্য বিমানের তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করবে বিমানটি।

নিমার্ণকারী ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান হাইব্রিড এয়ার ভেইকেলস বলছে, যাত্রীদের জন্য বিলাসবহুল বিমানটিতে বেশ কিছু সুবিধা রাখা হয়েছে। অন্যান্য বিমানের মতো কেবল বসে থাকা নয়, এতে সুযোগ থাকবে হেঁটে-চলে বেড়ানোর, থাকবে রেস্টুরেন্টও। এমনকি চাইলে বিছানায় শুয়েও ভ্রমণ করতে পারবেন যাত্রীরা।

টম গ্রান্ডি বলেন, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা পাবে যাত্রীরা। বিমানের চার পাশ ঘুরে দেখতে পারবেন তারা। জানালাগুলোও বড় থাকবে। এমনকি বিমানে বসেই দেখা যাবে নিচের সব দৃশ্য। যাত্রীরা যেন কোনো ঝাঁকি অনুভব না করে সেভাবেই তৈরির চেষ্টা করেছি বিমানটিকে।

বিশেষ এই মডেলে রাখা হয়েছে প্রথাগত জ্বালানির ২টি এবং ২টি বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন। যে কারণে জ্বালানি সাশ্রয়ী হবে বিমানটি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ পুরোদমে উৎপাদনে যেতে চায় নির্মাণকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ উদ্যোগে ২০৩০ সালে বিমানটি পুরোপুরি বৈদ্যুতিকযানে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এসজেড/

Exit mobile version