
সংগৃহীত ছবি
রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য আলোচনা জরুরি, তাই নির্বাচন কমিশনের সংলাপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তবে আসছে নির্বাচনে দলগুলোর গ্রহণযোগ্য প্রস্তাবের বাস্তবায়ন হয় কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। দলীয় সরকারের অধীনে দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নজির নেই বলে মন্তব্য তাদের। আর তাই বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব সমর্থন করছেন বিশ্লেষকরা।
ভোটের মাঠের খেলোয়াড় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে টানা সংলাপ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার পর্যালোচনা শেষে করণীয় ঠিক করার পালা। মাঠের পরিবেশ নিয়ে পুরনো অভিজ্ঞতার তিক্ততা থেকে আয়োজকদের বয়কট করেছে বিএনপিসহ ৯ দল। তবে পনেরো দিনের টানা আলোচনায় বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে অংশগ্রহণকারী ২৮ দল। যেখানে নির্বাচনকালীন সরকার অন্যতম। যদিও এর এখতিয়ার নেই ইসির।
নির্বাচন বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলিম বলেন, সংলাপের একটি ঘাটতি হচ্ছে সব দল তাতে অংশ নেয়নি। সিইসি নিজেই বলেছেন, দুটি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে। আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক প্রশ্ন আছে এ দুটি নির্বাচন নিয়ে। যার উত্তর আমরা কেউ কখনও দিতে পারি না। এ কারণে বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের পক্ষপাতদুষ্টতা দিন দিন বেড়েছে, কমেনি। তারা যদি আবারও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে কারও পক্ষেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এমনকি সবচেয়ে নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও অসম্ভব।
আলোচনায় অংশ নেয়া দলগুলোর বেশিরভাগই ইভিএমের বিপক্ষে মত দেয়। যদিও ক্ষমতাসীনরা সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে প্রযুক্তির পক্ষে তাদের মত তুলে ধরেন। এছাড়া আলোচনায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রস্তাব ছিল সবার। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইসি চাইলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কঠিন।
এ প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অধিকাংশ দলই ইভিএমের বিরুদ্ধে। আর এটি এমন একটা যন্ত্র যেটা ভোটাধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে। কুমিল্লার নির্বাচনেও কিন্তু ৫ শতাংশ ভোট কমে গিয়েছে। এ জন্য প্রয়াত জামিলুর রেজা চৌধুরী বর্তমান ব্র্যান্ডের ইভিএম কেনার বিপক্ষে ছিলেন। যাকে নির্বাচন কমিশনই কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।
ড. আব্দুল আলিম বলেন, একটা নির্বাচনকে আপনি তখনই গ্রহণযোগ্য বা বিশ্বাসযোগ্য বলবেন, যখন সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে। যেহেতু বেশ কিছু দল এটায় অংশ নিচ্ছে না, কাজেই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন যদি হয় সেটার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে একটা প্রশ্ন থাকবেই।
এর আগেও সংলাপ করেছিলেন কাজী রকিব ও নূরুল হুদা কমিশন। তবে এবারের সংলাপ কেবল ধারবাহিকতা নয় বলে জানান বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
/এমএন



Leave a reply