Site icon Jamuna Television

বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটরের মারধরে আহত শিক্ষার্থী হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর:

যশোরের ঝিকরগাছা লাউজানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরের বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ডাস্টার দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ডাস্টার দিয়ে মাথায় ও শরীরে এলোপাতাড়ি মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষে ঘটনাটি ঘটে। আহত ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন সাহাবি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মুচ্ছাাদ্দি হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত ইমরান খান একই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাব্বির হোসেন সাহাবি বলেন, গত সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি ক্লাসে নিয়মিত শিক্ষকের পরিবর্তে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ইমরান খান আমাদের ক্লাস নিতে আসেন। ক্লাস চলাকালীন ক্লাসের সময় শেষ হওয়ায় ঘণ্টা বেজে যায়। আমি স্যারকে বলি স্যার ক্লাস শেষ; ঘণ্টা বেজে গেছে। এমন সময় স্যার আমার দিকে তেড়ে এসে মাথায় ও শরীরে ডাস্টার দিয়ে এতোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। ক্লাসেই স্যারের হাতে মারধরের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীর মা হালিমা বেগম বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে বিদ্যালয়ের স্যার ও ছেলের কিছু বন্ধুরা মিলে সাব্বিরকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসে। তখন দেখি সাব্বির কান্নাকাটি করছে; কিছু বলছে না। পরে শুনি স্যার তাকে খুব মেরেছে। মাথায় এমনভাবে এলোপাতাড়ি আঘাত করেছে সাব্বির শুধু বমি, জ্বর ও মাথা যন্ত্রণায় ভুগছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা ভুল করতেই পারে। শিক্ষকরা শাসনের জন্য মারবে এটাও ঠিক। কিন্তু নির্যাতনের মতো কাজকর্ম করবে সেটা শিক্ষকদের মানায় না। এটার সুষ্ঠু বিচার চাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, ক্লাস রুমে সাব্বির হোসেন শ্রেণি শিক্ষকের উদ্দেশে ‘বাজে মন্তব্য’ করে। তখন স্যার উত্তেজিত হয়ে মারধর করেছে বলে শুনেছি। এখন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়াতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিযুক্ত কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরের বাবা মিলে ঐ শিক্ষার্থীকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করানো হয়েছে। পরীক্ষায় কোনো খারাপ কিছু আসেনি বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীর পরিবার থানায় ও উপজেলা নির্বাহীর অফিসারের কাছে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করছি। আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।

/এনএএস

Exit mobile version