Site icon Jamuna Television

পাকিস্তানে বিশ বছর পর দখলমুক্ত হলো ১২০০ বছরের পুরোনো মন্দির

দখলমুক্ত হওয়ার পর বাল্মিকী মন্দিরে পূজারত এক ব্যক্তি।

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে দখলমুক্ত হয়েছে পাকিস্তানের অন্যতম প্রাচীন ‘বাল্মিকী মন্দির’। লাহোরের আয়নাবাজার এলাকায় অবস্থিত ১২০০ বছরের পুরোনো হিন্দু মন্দিরটি এতোদিন বেআইনিভাবে দখলে রেখেছিল এক খ্রিস্টান পরিবার। দেশটির আদালতে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর মন্দিরটিকে পুনরুদ্ধারে করতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের উপাসনাগৃহগুলোর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা ইভাকিউই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড (ইটিপিবি)। খবর দ্য ডনের।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দ্য ডন জানিয়েছে, লাহোর শহরের ওই মন্দিরটি এখন থেকে ট্রাস্টের মধ্যমে পরিচালিত হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৩ আগস্ট) অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনরায় মন্দিরটি উদ্বোধন করে পাকিস্তান হিন্দু মন্দির ম্যানেজমেন্ট কমিটি (পিএইচএমএমসি)।

ইভাকিউই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট কৃষ্ণ শর্মা বলেন, মন্দির পুনরুদ্ধার হয়েছে। প্রাচীন এ মন্দিরটির প্রয়োজনীয় সংস্কার করার পরিকল্পনা আছে। সুষ্ঠুভাবে মন্দির পরিচালনায় ট্রাস্টের একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, ২০ বছর আগে বাল্মিকী মন্দিরের দখল নেয় নিজেদের ধর্মান্তরিত হিন্দু বলে দাবি করা স্থানীয় একটি খ্রিস্টান পরিবার। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে কেবলমাত্র ‘বাল্মিকী’ বর্ণের হিন্দুদেরই মন্দিরে প্রবেশ ও পুজো দেয়ার অনুমতি দিচ্ছিল। এতে অসন্তুষ্ট ছিলেন লাহোরের হিন্দু জনগোষ্ঠী। মন্দির দখলমুক্ত করতে ওই পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করে ইভাকিউই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড। 

পাকিস্তানের আদালতের জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, এখন থেকে মন্দিরের দেখাশোনা করবেন ট্রাস্টের সদস্যরা। সেখানে কারা পূজা দেবে কি-দেবে না, সে বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না দখলদার পরিবারটি।

এদিকে, বাল্মিকী মন্দির পুনরুদ্ধারের পর মন্দিরে জমায়েত করেন শ-খানেক হিন্দু। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন শিখ ও খ্রিস্টান ধর্মগুরুও। জমায়েতের এক পর্যায়ে মন্দিরে পুজা দেয়া হয়। সেখানে উপস্থিতদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় খাবারের।

/এসএইচ

Exit mobile version