Site icon Jamuna Television

সুপেয় পানির সঙ্কট; ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে নাকাল নীলফামারীবাসী

ফাইল ছবি

অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নীলফামারীর পানির গুণগতমান পরীক্ষাগার। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আর জনবল না থাকায় সম্ভব হচ্ছেনা পরীক্ষা। তাই অনিরাপদ পানি পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অসংখ্য মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়া, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া, অঙ্গহানিসহ ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগে।

নীলফামারীর প্রায় ৫ লাখের বেশি পরিবার গৃহস্থালীর সব কাজে ব্যবহার করেন নলকূপের পানি। পানসহ দৈনন্দিন সব কাজেরই ভরসা যে নলকূপটি তার পানি কতোটুকু নিরাপদ জানা নেই বাসিন্দাদের। অথচ অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পানির গুণগতমান নির্ণয়ের পরীক্ষাগারটি।

স্থানীয়রা বলছেন, পরীক্ষাগার থাকলেও, হচ্ছে না নলকূপের পানি পরীক্ষা। তাই বাধ্য হয়েই নোংরা ও দূষিত পানি পান করতে হচ্ছে তাদের। ফলে দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত নানান রোগ। পরীক্ষাগারটি চালু না হওয়ার পেছনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উদাসীনতাকে দুষছেন স্থানীয়রা। হাসপাতালেও বেড়েছে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা। দেখা গেছে, সপ্তাহে অন্তত তিনশ রোগী ভর্তি হচ্ছে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। হাসপাতালে দায়িত্বরত সেবক-সেবিকারা বলছেন, পানিবাহিত রোগে আক্রান্তদের সেবা দিতে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে, এমনকি তাদেরকে সেবা দিতে গিয়ে পাশের যে আইসোলেশন ওয়ার্ড সেটিও খুলে দিতে হয়েছে, আমরা রোগীদের বেড দিতে পারছি না।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু আল-হাজ্জাজ বলেন, এরকম পানি খেলে আর্সেনিকোসিস হতে পারে। এই রোগ এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে এখান থেকে ক্যান্সারও হতে পারে। এছাড়া অঙ্গহানীর সম্ভাবনাও রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, যন্ত্রপাতি আর জনবল সঙ্কটে সম্ভব হচ্ছে না পানির গুণগতমান পরীক্ষা। দ্রুতই এ সঙ্কট সমাধানের আশ্বাস তাদের।

নীলফামারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুরাদ হোসেন বলেন, যে সকল যন্ত্র আর প্রয়োজনীয় জনবল প্রয়োজন তা আমরা এখনও পাইনি। এগুলো পেয়ে গেলে আমরা পরবর্তীতে নীলফামারী জেলার পানি পরীক্ষা এই পরীক্ষাগার থেকেই করতে পারবো।

Exit mobile version