Site icon Jamuna Television

ভর্তুকি কমাতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, আইএমএফ’রও এমন পরামর্শ: পরিকল্পনামন্ত্রী

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাড়বে জীবন যাত্রার ব্যয়। নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষই এর শিকার হবেন বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ঋণ পেতে নানাবিধ সংস্কার শর্ত পরিপালনের বিকল্প নেই। আর ঋণ দিতে যেসব শর্ত জুড়ে দিয়েছে আইএমএফ, তার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি তেলের উপর ভর্তুকি কমানো।

পরিকল্পনামন্ত্রী মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি তেল বিক্রির ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দিয়ে আসছে সরকার। সমন্বয় করারও প্রয়োজন ছিল। তিনি জানান, মধ্যরাতে এক লাফে প্রায় ৫০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ভর্তুকি কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর ঋণ পেতে এই পরামর্শ দেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ। ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ও বাজেট সহায়তা হিসেবে এই ঋণদাতা সংস্থার কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চেয়েছে সরকার। ঋণ দিতে একগুচ্ছ শর্ত জুড়ে দিয়েছে আইএমএফ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জ্বালানি তেলে দীর্ঘদিন যাবত বিশাল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে আসছিল আমাদের সরকার। বাস্তবে যে মূল্যে আমরা কিনি তার এক-চতুর্থাংশ মূল্যেও বাজারে বিক্রি করি না। জ্বালানি হচ্ছে কেন্দ্রীয় দ্রব্য, সকল দ্রব্যের সৃষ্টিতে যার ভূমিকা প্রধান। সেই জ্বালানির মূল্য যখন বেড়েছে, আর কেবল বাড়া নয় বেশ বড় অঙ্কের বেড়েছে তখন আঘাতটাও বড় আসবে। সেটা অস্বীকার করার কোনো মানে হবে না। আইএমএফ বলুন কিংবা বিশ্বব্যাংক, তাদের সংস্কারের মানে হচ্ছে তারা যে নিয়মকানুনের কথা বলেছে সেগুলো মেনে চলতে হবে।

আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: পাম্পগুলোতে কমেছে তেল বিক্রি

/এম ই

Exit mobile version