Site icon Jamuna Television

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে চালের বাজারেও, বেড়েছে পরিবহন খরচ

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আগে থেকেই অস্থির হয়ে আছে চালের বাজার। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দু’ সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে কেজিতে অন্তত ৪ টাকা বেড়েছে চালের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় তা চালের দামের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের কারণেও মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে বলে দাবি মিলারদের। এরই মধ্যে বেড়েছে পরিবহন খরচ। এমন অবস্থায় বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি।

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এরই মধ্যে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু কোনো উদ্যোগেই চালের বাজারে স্থিতিশীলতা আনা যাচ্ছে না। এর ফলে নাকাল হচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির বড় সংখ্যক মানুষ। বলা হচ্ছে,  জ্বালানি তেলের দামের অযুহাতে আবারও বেড়ে যাবে চালের দাম।

বর্তমানে মোটা জাতের ইরি- ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫৪-৫৫ টাকায়। ইরি-২৯ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৮ থেকে ৭০ আর নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, পাইকার বাজার থেকেই বেশি মূল্যে কিনে আনতে হচ্ছে চাল। মেমো অনুযায়ীই দাম নিচ্ছেন তারা।

লোডশেডিংয়ের কারণে মিল পর্যায় থেকে ট্রাক প্রতি চালের ব্যয় বেড়েছে ৪ হাজার টাকারও বেশি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে মিল থেকে আসা নতুন চাল বস্তা প্রতি দাম বাড়তে পারে ১০০-২০০ টাকা।

এনিয়ে পাইকার ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলাম বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে ট্রাক ভাড়া বাড়বে। কৃষকের উৎপাদন খরচও বাড়বে। ফলে চালের দামেও এর প্রভাব পড়বে।  আরেক ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া থেকে ২৫০ বস্তার এক গাড়ি চাল আসতে খরচ লাগে ১৭ হাজার টাকা।  কিন্তু আমাকে গতকাল বলে দেয়া হলো পরিবহন খরচ আরও ৪ হাজার টাকা বৃদ্ধি পাবে। এখন পরিবহন খরচ বাড়লে চালের দামও বাড়বে, বৃদ্ধি পাবে ধানের দাম। এভাবেই চলতে থাকবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের উচ্চমূল্যের প্রভাবও পড়ছে চাল আমদানিতে। এছাড়া দেশি ও আমদানি করা চালের দাম এক হওয়ায় দামে প্রভাব পড়ছে না বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

এসজেড/

Exit mobile version