Site icon Jamuna Television

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে এলো কয়লার প্রথম চালান

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে কয়লা এখন নিশ্চিত। প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা এসে পৌঁছেছে মোংলায়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলছে কয়লা খালাস। আগামী মাসে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনে যাওয়ার আশা কর্তৃপক্ষের।

কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপালের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা প্রথম চালানে কয়লা এসেছে ৩৬ হাজার মেট্রিকটন।

বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে এই প্রকল্পের শুরু। যা এখন অনেকটাই শেষের পথে। মূল উপাদান কয়লা এই কেন্দ্রে এসে পৌঁছার পর কাজ আরও একধাপ এগিয়ে গেলো।

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে বলে জানালেন রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাবস্থাপক তরিকুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ আগামী বছরেরে ফেব্রুয়ারিতে চালুর আশাবাদের কথাও জানালেন তিনি।

রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান টেকনিক্যাল অফিসার রবীন্দ্র কুমার বললেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা ঠান্ডা করতে আমরা পশুর নদী থেকে পানি নেব, তবে তা খুবই অল্প পরিমাণে। কুলিং টাওয়ার ঠান্ডা করার পর গরম পানি নদীতে ফেলা হবে না বলেও জানালেন তিনি।

ধারাবাহিক উৎপাদনের জন্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যের কথা জানালেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের পিডি সুভাষ চন্দ্র পান্ডে। বললেন, এক নম্বর ইউনিটের লক্ষ্য পূরণ করতে আমাদের কারিগরি কিছু পরীক্ষা চালাতে হবে। এজন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলেও জানালেন তিনি।

কয়লা খালাসের বিষয়টি নজরদারি করছে বাগেরহাট পরিবেশ অধিদফতর। বাগেরহাট পরিবেশ অধিদফতরের উপ-রিচালক আরেফিন বাদল বলেন, শুরু থেকেই রামপাল প্রকল্পের মনিটরিং করছেন তারা। ভবিষ্যতেও মনিটরিং অব্যাহতদ রাখার কথা জানালেন তিনি।

বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ বিনিয়োগে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

/এডব্লিউ

Exit mobile version