Site icon Jamuna Television

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে আফিফ-এনামুলের ব্যাটে টাইগারদের পুঁজি ২৫৬ রান

আফিফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে দলীয় সংগ্রহের ক্রম অবনতির ধারা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। ৩০৩ ও ২৯০’র পর এনামুল বিজয় ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে টাইগারদের সংগ্রহ ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান। পুরো ইনিংসে আফিফের অপরাজিত ৮৫ ও এনামুল বিজয়ের ৭৬ রান ছাড়া উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি কেউই।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হেরে ইতোমধ্যেই লজ্জায় ডুবেছে রাসেল ডোমিঙ্গোর দল। এবার শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় চায় বাংলাদেশ। তবে যেমন ব্যাটিং দরকার ছিল এই ম্যাচে, হয়েছে তাঁর বিপরীত। বাজেভাবে উইকেট ছুড়ে দিয়ে জোড়া ডাক পেয়েছেন নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। এনামুল বিজয়ের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে ১৯ রানে রানআউটে কাটা পড়েন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পাল্টা আক্রমণ করে খেলে ৪টি ছয় ও ৬টি চারের সাহায্যে ৭০ বলে ৭৬ রান করেছেন এনামুল বিজয়। ইনিংসের প্রথমার্ধের হাইলাইটসই ছিল এই ডানহাতি ওপেনারের মারমুখী ব্যাটিং।

এনামুল হক বিজয়। ছবি: সংগৃহীত

তবে এনামুল বিজয়ের ব্যাটে যতটা এগিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস, মাহমুদউল্লাহ আরেকটি মন্থরগতির ইনিংসে যেন ততটাই পিছিয়েছে টাইগাররা। ৫০’র আশেপাশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাট চালানোর পর যখন কিছুটা ইতিবাচক হওয়ার ইঙ্গিত দেয়া শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ, তখনই অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে প্লেইড অন হয়ে ফেরেন ৬৯ বলে ৩৯ রান করে। এরপর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি মিরাজও। মাত্র ১৪ রান করেই সিকান্দার রাজার বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি।

এরপর দলীয় সংগ্রহকে ২৫০ পার করানোর প্রায় পুরো কৃতিত্বই আফিফ হোসেনের। ৬টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৮১ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে বোলারদের লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অবশ্য বোলিং ইউনিট ও ফিল্ডাররা আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি এবারও ঘটালে বিফলেই যাবে আফিফ-এনামুলদের লড়াই।

/এম ই

Exit mobile version