Site icon Jamuna Television

কর কাঠামোর অভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্পে থমকে গেছে বিনিয়োগ

দেশি হ্যান্ডসেট কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা।

সঙ্কটে দেশের মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্প। সহায়ক কর কাঠামোর অভাবে থমকে গেছে বিনিয়োগ। হতাশ উদ্যোক্তারা বলছেন, এতে সংকুচিত হতে পারে কাজের সুযোগ, বিশ্ববাজার ধরার স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে। এসব কারখানায় বিনিয়োগের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা। এ শিল্পে, কর্মসংস্থান হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি মানুষের।

কর সুবিধা এবং সহায়ক বিনিয়োগ নীতিমালার কারণে ২০১৭ সাল থেকে দেশে গড়ে ওঠে মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাণ ও সংযোজন শিল্প। দেশি কোম্পানির পাশাপাশি বৈশ্বিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগও আসতে থাকে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে বর্তমানে ১৪টি প্রতিষ্ঠান দেশেই তৈরি করছে হ্যান্ডসেট। কিন্তু চলমান ডলার সঙ্কট, স্তরভিত্তিক ভ্যাট আরোপ এবং এনইআইআর প্রকল্প বন্ধ করে দেয়ায় ধুঁকছে এ খাত।

উদ্যোক্তারা বলছেন, এক সময় বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের জন্য একাধিক উদ্যোক্তা নতুন এ খাতে অর্থ লগ্নি করlলেও। কিন্তু বৈরি নীতির কারণে মাত্র ৫ বছরের মধ্যে এখন মুখ থুবড়ে পড়তে যাচ্ছে এ শিল্প।

সিম্ফনি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহীদ বলেন, এখানে ২০% এর মতো ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। অথচ আমাদের ম্যানুফ্যাকচারারদেরকে ৫% লাভে যে ভ্যাট তা দেয়ার কারণেই কিন্তু আমরা এতো বড় একটা উদ্যোগ নিই, এখন এখানে একটা বড় বাধা চলে আসলো। এখন এই ইন্ডাস্ট্রি এবং আমরা যারা লোকাল ম্যানুফ্যাকচারার তাদের অস্তিত্বের হুমকি দেখা দিয়েছে।এদিকে উদ্যোক্তারা বলছেন, চোরাকারবারীদের দাপতে উতপাদন নেমে এসেছে অর্ধেকে। খরচ কমাতে নতুন করে বিনিয়োগে আর আগ্রহী হচ্ছেন না তারা। এতে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থান সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
ফেয়ার গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মিসবাহ উদ্দিন বললেন, যে হারে আমাদের মার্কেট কমছে তাতে আমরাও চিন্তিত হয়ে পড়েছি যে আমাদের যে ১০-১২ হাজারের মতো লোক কাজ করে তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে। খরচ বাঁচাতে আমাদের প্রোডাকশন কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে ৫০% এর মতো।

উদ্যোক্তারা বলছেন, চোরাকারবারীদের দাপটে উৎপাদন নেমে এসেছে অর্ধেকে। খরচ কমাতে, নতুন করে আর বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। এতে, কর্মংস্থান সংকুচিত হওয়ার ঝুকি দেখা দিয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদী নীতি না থাকায় , এই খাত সংশ্লিষ্ট সহায়ক শিল্প গড়ে উঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। সিম্ফনি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহীদ আরও বলেন, মেইনস্ট্রিমেই তো আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে, এখন ব্যাকওয়ার্ড লিংকে ইনভেস্টমেন্টের কোনো প্রশ্নই আসে না। পলিসি যদি একটা সারটেইন টাইমের পর চেঞ্জ হয় বা দীর্ঘমেয়াদে যদি একটা পলিসি কন্টিনিউ করা না হয় তাহলে ব্যাকওয়ার্ড লিংকগুলো তো ডেভেলপ হবে না।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রতিবছর হ্যান্ডসেটের চাহিদা থাকে সাড়ে ৩ কোটি। এরমধ্যে ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় স্থানীয় কারখানা থেকে।

/এসএইচ

Exit mobile version