জমানো টাকা দিতে টালবাহানা করছিলো ব্যাংক। তাই অস্ত্র হাতে কর্মকর্তাদের জিম্মি করলেন লেবাননের এক গ্রাহক বাসেম আল-শেখ হুসেইন। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দিনভর চলে নাটকীয়তা। পরে জমানো অর্থের একাংশ হাতে পেয়ে করেন আত্মসমর্পণ। তার এই ভিন্নধর্মী লড়াইয়ে সমর্থন যুগিয়েছেন সর্বস্তরের বৈরুতবাসী। কোন অপরাধ সংগঠিত না হওয়ায়, শিগগিরই পেতে পারেন মুক্তি। খবর আল জাজিরার।
বাবা ভর্তি হাসপাতালে। বিল মেটাতে না পেরে ব্যাংকের শরণাপন্ন হন বৈরুতের নাগরিক বাসেম আল-শেখ হুসেইন। কিন্তু সরকারি বিধিমালার কারণে অর্থ দিতে টালবাহানা করছিলো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কয়েকদিন ধরে ঘুরতে থাকা বাসেম বৃহস্পতিবার হয়ে ওঠেন ক্ষিপ্ত। রাইফেল আর পেট্রোল হাতে হাজির হন ব্যাংকে। তারপর ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিম্মি করেন।
বাসেমের ভাই আতেফ আল শেখ হুসেইন বলেন, বাবা হাসপাতালে। কয়েকদিন আগেও সাড়ে ৫ হাজার ডলার খরচ মিটিয়েছি। কিন্তু, তাকে বাঁচানোর জন্য আরও অর্থ প্রয়োজন। আমার ভাই অপরাধী নয়। ব্যাংক লুটের কোনো উদ্দেশ্যেও নেই। কয়েকদিন ধরেই ব্যাংকে জমানো টাকাগুলো তুলতে চাইছে। কিন্তু, টালবাহানা করছে কর্তৃপক্ষ। তাই রাগের মাথায় এ জিম্মিকাণ্ড ঘটিয়েছে।
জীবনযুদ্ধে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাসেমকে সমর্থন দেন গোটা বৈরুতবাসী। এমনকি ব্যাংকে জিম্মি হওয়া কর্মকর্তাদের আত্মীয়রাও জানান, তার দাবি ফেলনা নয়।
ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় হয় দফারফা। বাসেমের জমানো অর্থের ৩৫ হাজার ডলার তাকে বুঝিয়ে দেয়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এরপরই তিনি অস্ত্রসহ করেন আত্মসমর্পণ। তবে অতীতে এমন ঘটনার নজির না থাকায় শাস্তি নিয়ে বিভক্ত আইনজ্ঞরা।
এটিএম/

