আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। আগস্টের প্রথম দশ দিনে মারা গেছে ছয় জন ডেঙ্গুরোগী। চিকিৎসকরা বলছেন ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার করোনার দ্বিগুন। ভয়াবহতা ঠেকাতে ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা জরুরি বলে মনে করছেন, চিকিৎসকরা।
হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে জুনের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষা এলে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। থেমে থেমে বৃষ্টিতে, বিস্তার ঘটে এডিসের। তাই সবার আগে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা দরকার বলে মনে করেন তারা।
আইইডিসিআর এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, ডেঙ্গু একটি মারাত্মক রোগ। সারা পৃথিবীতেই ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার (২.৫%) করোনার চেয়েও বেশি, যেখানে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৫%। সম্মিলিতভাবে সারা শহরে কাজটা করতে হবে, শুধুমাত্র তাহলেই আপনি শহরে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। চঞ্চল শিশুর ফ্লুইড ঘাটতি বুঝে ওঠা কঠিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেও সতর্ক করছেন তারা।
মিডফোর্ড হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, সাধারণত দুই বা তিনদিনে হবে না ডেঙ্গুর ব্যাপারটা বুঝতে সাধারণত ৫-৬ দিন পর্যন্ত সময় প্রয়োজন। যদি দেখেন বাচ্চার ল্যাথার্জি হয়ে গেছে, মাড়ি-মুখ, নাক-কান, মলমূত্রদ্বার হেকে ব্লিডিং হচ্ছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।
শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সারাবন তাহুরা বলেন, জ্বর যেদিন থেকে ভাল হয় সেদিন থেকেই কিছু জটিলতার কারণে শকে চলে যায় বাচ্চারা। সলিড খাবার যদি খেতে না-ও চায় তাহলে খাবারে লিকুইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবেন। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধগুলো খাবে।
ডেঙ্গুর আক্রমণে গেলো বছর মারা গেছেন অন্তত ১০৫ জন।
/এসএইচ

