Site icon Jamuna Television

ভয়াবহ পুষ্টিহীনতায় আফগানিস্তানে বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার, আন্তর্জাতিক সহায়তা চালুর আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত।

খাদ্য সংকট ও চলমান অস্থিতিশীলতার ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে আফগানিস্তানের শিশুদের ওপর। দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা এবং শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। ইউনিসেফের তথ্য বলছে, তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আফগানিস্তানে খাদ্য সংকট ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে বিদেশি দাতাদের সহায়তা বন্ধ হওয়াকে চিহ্নিত করেছে ইউনিসেফ। মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বিদেশি সহায়তা চালুর আহ্বান জানিয়েছে দেশটিতে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থা। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

মানবিক সংকটের ভয়াবহ রূপের কিছুটা ধারণা পাওয়া যায় আফগানিস্তানের ইন্দিরা গান্ধি শিশু হাসপাতালে। চরম অপুষ্টির শিকার শিশুরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। হাসপাতালে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে আসা একজন মা বলেন, আমাদের কোনো অর্থ নেই। গর্ভকালীন ভালো খাবারও খেতে পারিনি, ওষুধ কেনার মতো অবস্থা ছিল না। আমার বাচ্চাটা পুষ্টিহীনতা নিয়েই জন্ম নেয়। ওকে ভালো চিকিৎসা দেয়ার মতো অবস্থাও নেই। চোখের সামনে সন্তান ধুকে ধুকে মারা যাচ্ছে এটা মেনে নিতে পারছি না কোনোভাবেই।

ইউনিসেফ বলছে, তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর মানবিক সংকট প্রকট হতে শুরু করেছে আফগানিস্তানে। এর অন্যতম কারণ হলো, রাতারাতি বিদেশি সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়া। এতে অস্থিতিশীলতা বাড়তে থাকে দেশটির অর্থনীতিতে। এর সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্য, সুপেয় পানি আর চিকিৎসার অভাবের কারণে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা বেড়েছে।

আফগানিস্তানে কর্মরত ইউনিসেফ কর্মকর্তা মেলানি গ্যাভিন বলেন, দারিদ্র্যতা অপুষ্টির প্রধান কারণ। এছাড়া পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা, বিশুদ্ধ পানির অভাবও অনেকাংশে দায়ী এক্ষেত্রে। গত এক বছরে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে দেশটিতে। এনিয়ে জাতিসংঘ বলছে, চলতি বছর আফগানিস্তানে পুষ্টিহীনতার শিকার হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে ৫ বছরের কম বয়সী কমপক্ষে ১১ লাখ শিশু।

এসজেড/

Exit mobile version