Site icon Jamuna Television

সিটি কর্পোরেশনে শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু ২৫ আগস্ট

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, মানিকগঞ্জ:

আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকা কাযর্ক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ২ কোটি ২০ লক্ষ শিশুকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে কোভিট-১৯ মোকাবেলায় কর্মহীন ৫ শত পরিবারে মধ্যে খাদ্য, বস্ত্র ও সুরক্ষা সামগ্রী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারের হাতে শিশুদের উপযোগী ৩০ লক্ষ ভ্যাকসিন রয়েছে। বাকি টিকাগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে চলে আসবে বলে জানান তিনি।

খুব কম দেশই করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে, আমেরিকাও পারেনি, ইউরোপ পারেনি, সেখানে বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে ৫ম স্থান অধিকার করছে। এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে ৩০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিনে ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে আর এর ফলেই দেশের মানুষ সুরক্ষিত রয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে জ্বালানি, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলছে। শ্রীলঙ্কায় সব কিছু বন্ধ হয়েছে যাচ্ছে। সেখানে জ্বালানি খাদ্য, সার ও বিদ্যুৎ নেই। ইউরোপেও এর প্রভাব পড়ছে। সেখানেও রেশোনিং শুরু হয়েছে ও ব্যাংকের সুদ বাড়িয়েছে। সমস্যা যখন পৃথিবীতে আসে এর প্রভাব কম-বেশি সব দেশেই পড়ে। আমাদের দেশ ঘনবসতি একটি দেশ, যে কারণে আমাদের দেশেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জ্বালানি নির্ভরশীল রাষ্ট্র। আমাদের জ্বালানি আমদানি করতে হয়। জ্বালানির দাম পৃথিবীতে তিনগুণ বেড়ে গেছে।
জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক দেশে জ্বালানি নেই। বাংলাদেশের জ্বালানি আছে। প্রধানমন্ত্রী আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করছেন, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছেন। আমাদের এই সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। তাই আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। বিদ্যুৎসহ সবক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল যখন প্রচার করছে সরকার জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি করেছে। না, সরকার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করেনি। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। বেশি দাম দিয়ে কিনলে আমাদের দেশেও বেশি দামে তা ছাড়তে হবে। এটা চিরস্থায়ী নয়, আন্তাজার্তিক বাজারে কমে আসলে আমাদের দেশেও কমে আসবে, বিদ্যুৎও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আমরা কিছুটা কৃচ্ছতা সাধন করছি, যাতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা না হয়। বাংলাদেশে খাদ্যে কোনো ঘাটতি নেই, জ্বালানিও আছে।

জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমান সরকার হিমালয় পর্বতের মতো দাঁড়িয়ে আছে। বিরোধী দলের তিনজনের ধাক্কায় হিমালয় পর্বত পড়বে না। কাজেই সামনে নির্বাচনে দেখা যাবে জনগণ কাদের মূল্যায়ন করে। যারা পদ্মাসেতু, রাস্তাঘাট, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎ, খাদ্যের সংকট মোকাবেল করেছেন তাদের মূল্যায়ণ করবে? না যারা সার ও বিদ্যুতের জন্য জনগণকে গুলি করে মেরেছে তাদের মূল্যায়ণ করবে। জনগণ উন্নয়নের সাথে আছে, ভবিষ্যতেও উন্নয়নের সাথেই থাকবে।

/এডব্লিউ

Exit mobile version