Site icon Jamuna Television

‘লাল সিং চাড্ডা’র বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অবমাননার অভিযোগ, এফআইআর দায়ের

ছবি: সংগৃহীত।

হলিউডের ‘ফরেস্ট গাম্প’ ছবির অবলম্বনে নির্মিত আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এর জেরে এবার এই ছবির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, এই ছবিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবমাননা করা হয়েছে। সেই সাথে হিন্দু ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

গত ১১ আগস্ট ভারতে মুক্তি পায় ছবিটি। এখানে আমির খানকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন কর্মী হিসেবে দেখা গেছে। জানা গেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অসম্মান করা, দিল্লি পুলিশের কাছে দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উস্কানি দেয়া, বিভিন্ন গোষ্ঠির মধ্যে শত্রুতা তৈরি করা, কোনো ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে আদালতে এই এফআইআর দায়ের করেছেন বিনীত জিন্দাল নামে দিল্লির এক আইনজীবী।

এই আইনজীবীর দাবি, এই ছবিতে একজন মানসিক প্রতিবন্ধীকে কার্গিল যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে, যেটা বাস্তবে অসম্ভব। কারণ এই অবস্থায় কোনো ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারে না। কঠোরভাবে প্রশিক্ষিত সেনা সদস্য ছাড়া কেউই সীমান্তে যাওয়ার অনুমতি পায় না। তাই এখানে নির্মাতারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অসম্মান করছেন।

এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন আইনজীবী। তার দাবি, ছবির একটি দৃশ্যে পাকিস্তানি একজন কর্মী লাল সিং চড্ডাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি নামাজ পড়ি এবং প্রার্থনা করি। লাল, আপনি কেনো তা করেন না? সেখানে লালের উত্তর ছিল, আমার মা বলেছেন, এই সব পূজাপাঠ ম্যালেরিয়া। এতে দাঙ্গা হয়। এটিকে হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে মানহানিকর বিবৃতি বলে উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারী। এতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দাঙ্গার উস্কানি দেয়া হচ্ছে বলে দাবি তার।

এদিকে, মুক্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঞ্জাবের একটি সিনেমা হলে লাল সিং চাড্ডার প্রদর্শনী বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের দ্বারকার এক সিনেমাহলে ছবির প্রদর্শনী চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একদল বিক্ষোভকারী সিনেমা হলের সামনে একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাদের দাবি ছিল, আমিরের এই নতুন ছবি তাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করেছে।

অবশ্য এ সময় ছবিটিকে সমর্থন জানায় শিখ ধর্মাবলম্বীদের অন্য একটি দল। শিখ সংগঠনের কিছু সদস্য ছবিটির সমর্থনে স্লোগান তোলেন হলের সামনে। তাদের দাবি, এই ছবিটি একজন শিখ ধর্মাবলম্বীর জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে। সুতরাং হিন্দু সংগঠনগুলোর ছবির প্রদর্শন বন্ধ করার কোনো অধিকার নেই।

এসজেড/

Exit mobile version