Site icon Jamuna Television

ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই তেল ও চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা, প্রমাণ পেয়েছে ভোক্তা অধিকার

ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে তেল ও চালের বাজারে অস্থিতিশীলতার প্রমাণ মিলেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে। শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের দুটি পাইকারি বাজার ও আড়তে অভিযান চালিয়ে মেলে এমন প্রমাণ। এসময় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। তবে দাম বৃদ্ধির জন্য মিলারদের দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আড়তে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকার বেশি। অথচ সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬৬ টাকা করে। আড়তে নেই পণ্য ক্রয়ের পাকা রশিদ। আড়তদারের যুক্তি, তেল নিতে মিলে চারদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাদের, সেই লোকসানের টাকাও যোগ হয় বিক্রয় মূল্যে। আর ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি পুরোটাই বেআইনি।

কৃষি মার্কেটের পাশে ওই এলাকার এলাকার সবচেয়ে বড় চালের আড়ত। সেখানেও ক্রয়ের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের বিস্তর ফারাক। কোনো কোনো আড়তে নেই হালনাগাদ মূল্য তালিকা। চাল ও তেলের দামে কারসাজি করায় কৃষি মার্কেটের কয়েকজন চাল ও তেলের আড়তদারকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খালি রেখেই পালিয়ে যান অনেক আড়তদার।

এর আগে অভিযান চলে মোহাম্মদপুরের টাউনহল বাজারে। সেখানেও চালের মূল্যে ব্যাপক কারসাজির প্রমাণ পায় ভোক্তা অধিকারের দল। মূল্য তালিকার হেরফেরসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে এখানেও কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানা করে সংস্থাটি। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিলারদের জন্যই দাম বাড়ছে চালের। সঙ্গে যোগ হয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলছেন, ব্যবসায়ীদের নানা কারসাজিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তাদের অভিযান চলবে। এই কর্মকর্তা জানালেন, কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের বাজারেও অভিযান চালিয়েছেন তারা। সেখানেও দরদামের তারতম্য পাওয়া গেছে।

/এডব্লিউ

Exit mobile version