Site icon Jamuna Television

অর্থকষ্টে থাকা বিনোদ কাম্বলি কাজ খুঁজছেন, সবই জানেন বন্ধু শচীন

শচীন টেন্ডুলকার ও বিনোদ কাম্বলি। ছবি: সংগৃহীত

প্রচণ্ড অর্থকষ্টে ভুগছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও শচীন টেন্ডুলকারের বাল্যকালের বন্ধু বিনোদ কাম্বলি। অভাব মেটাতে নিরুপায় হয়ে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যেকোনো কাজ চেয়েছেন তিনি।

১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে ভারতের অন্যতম সেরা তারকা ছিলেন কাম্বলি। ক্যারিয়ারের প্রথম সাত টেস্টে ১১৩.২৯ গড়ে রান করেছিলেন ৭৯৩। যার মধ্যে ছিল দুইটি ডাবল সেঞ্চুরিও। কিন্তু বিলাসী জীবন শেষ পর্যন্ত কাল হয় কাম্বলির জন্য। প্রায় নয়বার দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েন।

বর্তমানে কাম্বলির একমাত্র আয়ের উৎস ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দেয়া মাসিক ৩০ হাজার রুপি পেনশন। যার জন্য বিসিসিআইয়ের কাছে কৃতজ্ঞও তিনি। যদিও পরিবারকে টিকিয়ে রাখার জন্য বর্তমানে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যেকোনো কাজ করতে ইচ্ছুক তিনি। ভারতীয় দৈনিক ‘মিড-ডে’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার যে বিসিসিআইয়ের পেনশনের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। এই মুহূর্তে আমার আয়ের একমাত্র উৎস বোর্ড।

কাম্বলি বলেছেন, আমার এমন কোনো কাজ দরকার যেখানে তরুণদের নিয়ে কিছু করা যায়। আমি জানি মুম্বাই তাদের প্রধান কোচ হিসেবে অমল মজুমদারকে ধরে রেখেছে। কিন্তু যদি কোথাও আমার প্রয়োজন হয়, আমি সেখানে আছি। আমরা একসঙ্গে খেলেছি এবং আমরা একটি দুর্দান্ত দল ছিলাম। আমি চাই বর্তমান মুম্বাই দল ভালো করুক। আমি মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। আমাকে ক্রিকেট ইমপ্রুভমেন্ট কমিটিতে রাখা হয়েছে। কিন্তু সেটি শুধু একটি সম্মানজনক পদ। আমি অন্য কাজের জন্য এমসিএ-তে গিয়েছিলাম। যাতে আমি আমার পরিবারের দেখাশোনা করতে পারি। আমি এমসিএকে অনেকবার বলেছি, আমাকে যদি আমার প্রয়োজন হয়, আমি আছি। সেটা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হোক বা বিকেসিতে।

অতীতে বেশ কয়েকটি কোচিংয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন কাম্বলি। ২০১৯ সালে তিনি মুম্বাই টি-টোয়েন্টি লিগে একটি দলের প্রশিক্ষক ছিলেন। এছাড়া তরুণ ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ‘টেন্ডুলকার মিডলসেক্স গ্লোবাল একাডেমি’র সাথে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু চাকরিটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। কারণ সেটি ছিল তার বাসা থেকে অনেক দূরে।

শচীন যে বন্ধুর দুরাবস্থা সম্পর্কে সবই জানেন সেটিও উল্লেখ করেছেন কাম্বলি। বলেছেন, শচীন সবই জানে, কিন্তু আমি তার কাছ থেকে কিছু আশা করছি না। সে আমাকে ‘টেন্ডুলকার মিডলসেক্স গ্লোবাল একাডেমি’র কাজ দিয়েছিল। আমি এতে বেশ খুশি ছিলাম। সে আমার খুব ভালো বন্ধু। সে সবসময়ই আমার জন্য করেছে।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।

জেডআই/

Exit mobile version