Site icon Jamuna Television

এক সময়ের ‘মৃত্যু দ্বীপে’ ট্রাম্প-কিম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের বৈঠককে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে এক আলোচিত নাম এখন ‘সান্তোসা দ্বীপ’। সিঙ্গাপুর শহর থেকে আধা কিলোমিটার দূরের এই দ্বীপটি পর্যটনের জন্য বেশ জনপ্রিয়। তবে এক সময় এটি ছিল এক আতঙ্কের নাম। ব্যবসায়ীদের ধরে এনে এই দ্বীপে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করতো জলদস্যুরা। অনেককে মেরে ফেলতো। দ্বীপটি ‘আইল্যান্ড অব ডেথ’ বা ‘মৃত্যু দ্বীপ’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।

এ অঞ্চলে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ কায়েমের বেশ আগে থেকেই সিঙ্গাপুর উন্নত বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল, নৌপথে ব্যবসায়ীরা মালামাল নিয়ে যাতায়াত করতো। তাদের ধরে নিয়ে যেত দস্যুরা। ১৯৭২ সালের পর সিঙ্গাপুর সরকার এই কালিমা মুছে দ্বীপটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। এর নতুন নাম দেওয়া হয় সান্তোসা। যার অর্থ ‘শান্তি ও প্রশান্তি’।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের কাছ থেকে এই দ্বীপ দখল করে নেয় জাপান। তারা এর নাম দেয় ‘সায়োনান’ অর্থাৎ ‘দক্ষিণের বাতি’। সে সময় জাপানি বাহিনী এখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। এখানে জাপান বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে প্রচুর মানুষকে হত্যা করে সাগরে ফেলে
দেওয়া হয়। ট্রাম্প-কিম যে ক্যাপেলা হোটেলে বৈঠক করবেন সে স্থানেও চলেছে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ।

কালক্রমে সেই সান্তোসা এখন বিলাসবহুল পর্যটন স্থান। ক্যাসিনোর জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপটিতে থিম পার্ক, ইউনিভার্সাল স্টুডিও, হোটেল, রেস্টুরেন্ট আর গলফ কোর্স তো আছেই, আছে বিলাসব্হুল সব বাড়ি। বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিরা এখানে আসেন অবসর কাটাতে। এবার এসেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা ট্রাম্প ও কিম যাদের বৈঠকের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে আগামীদিনের বিশ্ব রাজনীতি গতিপথ। আর পেছনে তো ‘মৃত্যু দ্বীপের’ কলঙ্ক আছেই।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version