Site icon Jamuna Television

বাজার ঠিক রাখতেই বড় দেশগুলো বেশি ম্যাচ খেলে: স্টাইরিস

ক্রিকেটকে সমানে সমান দেখতে চান স্টাইরিস।

বিশ্ব ক্রিকেটের বাজার ঠিক রাখতেই বড় দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বেশি হয়; এমনটাই মনে করেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার স্কট স্টাইরিশ। বড় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারত-অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। ২০২৩ সালের এফটিপিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সমান পাঁচটি করে টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলবে ভারত।

২০২৩ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চার বছরে ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম প্রকাশ করেছে আইসিসি। এই সময়ে মোট ৭৭৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে আইসিসির ১২টি সদস্য দেশ। যেখানে থাকছে ১৭৩ টেস্ট, ২৮১ ওয়ানডে ও ৩২৩ টি টোয়েন্টি ম্যাচ।

শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সংখ্যার খুব বেশি পার্থক্য নেই। তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতন দেশগুলো একে অপরের বিপক্ষে খেলবে সবচাইতে বেশি টেস্ট সিরিজ। পরবর্তী এফটিপিতে ভারত একাই খেলবে ১৩৮টি ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট সিরিজ যেটি পরিচিত বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি নামে, সেটি এখন হবে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। এছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে দেখা যাবে ম্যান ইন ব্লুদের।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস মনে করেন, বড় দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাড়লে বিশ্ব ক্রিকেটও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। তিনি বলেন, আমার যতুটুকু মনে আছে বেশ কিছুদিন ধরেই এমনটা হয়ে আসছে। কিছু দল আছে যারা শুধুমাত্র ৩ থেকে ৫ ম্যাচের সিরিজ পায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড দুই ম্যাচের সিরিজ পেয়ে থাকে। এখানে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। বড় তিনটি দেশই এখানে বেশি ম্যাচ খেলে। আর বিশ্ব ক্রিকেটের অর্থের জোগান এখান থেকেই হয়।

উদাহরণ হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নিয়মকে তুলে ধরেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটার। যেখানে স্বতন্ত্র খ্যাতি থাকা সত্বেও বড় দলগুলো নিজেদের মধ্যে সমান ম্যাচ খেলে। স্টাইরিস বলেন, দলগুলো যখন বিভিন্ন ফরম্যাটে খেলে তখন ১টি অর্থপূর্ণ প্রতিযোগিতা থাকাটা খুব কঠিন ব্যাপার। যেমন, ইপিএলে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে লিভারপুলকে পুরো মৌসুমে পাঁচবারও খেলতে দেখা যায় না।

স্টাইরিস একটি নিখুঁত ক্রিকেট বিশ্ব দেখতে চান যেখানে খেলা হবে সমানে সমান। তবে তিনি মনে করেন কখনও কখনও অর্থ কথা বলে। তাই তো বড় দলগুলোর বেশি ম্যাচ খেলার বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ বছর পার কোহলির, সেঞ্চুরি না পাওয়ার হাজারতম দিনও

/এম ই

Exit mobile version