Site icon Jamuna Television

ট্রাম্প-কিম বৈঠকের ফল কী?

বৈঠক শেষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করছেন ট্রাম্প-কিম

বহুল আলোচিত ও ঐতিহাসিক ট্রাম্প-কিম বৈঠকের দিকে সারা বিশ্বের নজর। কী হচ্ছে বৈঠকে? কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছে চির বৈরি দুই রাষ্ট্র? নাকি বিশ্বকে আর একটি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিবে? বৈঠকের শুরুতে উষ্ণ করমর্দন এবং বৈঠক শেষে দু’নেতার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর আলোচনাকে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনই বড় ধরনের কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া।

যৌথ সম্মেলনে, ট্রাম্প-কিম দুজনই মঙ্গলবারের বৈঠককে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকের মাধ্যমে দুই নেতা পরস্পরকে জানতে পেরেছেন। দুই রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।

কিম জানান, সামনের দিনগুলোতে উত্তর কোরিয়ার প্রতি সারা বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আমরা শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ, তিনি আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছেন।

অন্যদিকে, ট্রাম্প বলেন, দুই রাষ্ট্রের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক হতে পারে। আমরা আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে একমত হয়েছি। কিমকে দেখে খুব মেধাবী মনে হয়েছে। সে তার দেশকে অনেক ভালোবাসে।

অথচ, বৈঠক শুরুর আগেও সংশয়ী ট্রাম্প বলেছিলেন, শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই এর গতিপ্রকৃতি বোঝা যাবে।

অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম বলেছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক তিনি, যদিও এটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।

এর আগে, মঙ্গলবার দিনটা ঐতিহাসিক করমর্দনের মধ্য দিয়ে শুরু করেন দুই নেতা। ক্যাপেলা হোটেলের আঙিনায় প্রথমবারের মতো ১২ সেকেন্ড ধরে করমর্দন করেন।

প্রায় ৪৫ মিনিট দুজন একান্ত বৈঠক করেন। এ সময় দুজনের পক্ষে অনুবাদক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। এরপর তাঁরা দুজন পৃথক ঘরে চলে যান। এরপর দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়।

শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, চিফ অব স্টাফ জন কেলি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স, ফিলিপাইনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুং কিম, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এশিয়া অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ম্যাট পটিংগার ও উপস্থিত ছিলেন।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ওং হো, কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রি সু ওং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও।

এই কিছুদিন আগেও পরস্পরকে হুমকি ধামকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প-কিম। তীর্যক মন্তব্যে একে অপরকে ঘায়েল করতে চেয়েছিলেন। তারপর নমনীয় হয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হন তারা। গত ২৪ মে হঠাৎ করেই বৈঠক বাতিল করেন ট্রাম্প। পরে দুই পক্ষের কর্মকর্তারা আলোচনা করে আবার দুই নেতাকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শেষ হলো বৈঠক। ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ’- এটিই হয়তো আজকের বৈঠকের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version