দৈনিক মজুরি ১৪৫ নয়, ৩০০ টাকাই নির্ধারণ করতে হবে। সেই দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে চা শ্রমিকরা।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে চা শ্রমিকরা সিলেট এয়ারপোর্টের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। এতে দুই পাশে প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। এয়ারপোর্টে যাওয়ার রাস্তায় যাত্রীরা যেমন আটকে পড়েছেন, তেমনি এয়ারপোর্ট থেকে আসা যাত্রীরাও আটকে আছেন। চা শ্রমিকরা জানিয়েছেন, শ্রমিক নেতাদের প্রতারণা তারা মেনে নেননি। এতদিন শ্রমিক নেতাদের ডাকে তারা আন্দোলন করেছেন। এখন নিজেদের তাগিদেই তারা রাস্তায় অবস্থান করবেন। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনরত চা শ্রমিকরা।
সমাবেশ থেকে আন্দলনরতরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ১৪৫ টাকায় কি বর্তমান বাজারে আমরা পরিবারে ৫ জন সদস্য নিয়ে খেয়েপড়ে বাঁচতে পারবো? তাই এমন প্রতারণার চুক্তিকে আমরা ধিক্কার জানাই। ৩০০ টাকার মজুরি নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা চা শ্রমিকরা রাস্তায় থাকবো।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে চা শ্রমিকরা। পরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। এতে ব্যাহত যান চলাচল। সিলেটেও এয়ারপোর্ট সড়ক অবরোধ করেছে চা শ্রমিকরা। মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন স্থানেও চা বাগানে অবস্থান নিয়েছেন শ্রমিকরা। বিক্ষোভ-মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
উল্লেখ্য, শনিবার শ্রীমঙ্গলে শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালকের সাথে শ্রমিক নেতাদের মিটিং হয়। মধ্যস্থতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। দৈনিক মজুরি নির্ধারণের পর আন্দোলন থেকে সরে আসার কথা জানায় শ্রমিক ইউনিয়ন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই সাধারণ শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে সুর বদলে ফেলেন তারা।
/এম ই

