Site icon Jamuna Television

টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য তিন জেলা প্লাবিত

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন নদ নদীর পানি বেড়ে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য তিন জেলার বেশিরভাগ এলাকা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, চেঙ্গী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

এদিকে টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে ভূমিধসে ১২ জন মারা গেছে। কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভূমিধসে একজন মারা গেছেন। গতকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছিল পাহাড়ি জনপদে।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। এরমাঝেই রাঙ্গমাটির নানিয়ার চরের কয়েকটি জায়গায় পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। বড়পুল এলাকায় নিহত হয় একই পরিবারের চার জন। এছাড়া শেকলপাড়ায় ৪ ও হাতিমারা এলাকায় আরও তিনজন মাটিচাপায় মারা গেছে।

দাফনের জন্য নিহত প্রতি ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। সাথে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতাও চালানো হচ্ছে।

এদিকে প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে পানিতে। গতরাত থেকে বৃষ্টির ফলে মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়া পাড়া, গোলাবাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। ডুবে গেছে শহরের শাপলা চত্বর ও বাস টার্মিনাল সড়ক। পানি ঢুকে গেছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনেও। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। এরইমধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে পুরো জেলা।

অপরদিকে টানা বর্ষণে সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে বান্দরবানের অনেক নিচু এলাকা। বৃষ্টিতে শহরের নদীতীরবর্তী অফিসার্স ক্লাব, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বাড়িঘর-দোকানপাটে। সরিয়ে নেয়া হয়েছে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী অনেককেই। এদিকে স্বর্ণমন্দির এলাকায় একটি বেইলি ব্রিজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গতকাল থেকেই বন্ধ বান্দরবানের সাথে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ। রুমা উপজেলার সাথে গালেংগ্যা ইউনিয়ন, থানচির সাথে রেমাক্রীসহ অভ্যন্তরীণ নৌপথের যোগাযোগও বন্ধ আছে।

Exit mobile version