
কৃষ্ণকুমার কুন্নথ (১৯৬৮-২০২২)
কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। এই নামে তাকে চেনা না গেলেও কেকে বললে এক নিমিষেই মনে পড়ে যাবে বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পীর কথা। যিনি তার অসাধারন গায়কী দিয়ে জয় করেছেন অসংখ্য সঙ্গীতপ্রেমীর মন। আজ ভার্সেটাইল এ সঙ্গীতশিল্পীর জন্মদিন।
যার গানের মাধ্যমে ৯০ দশকের ছেলেমেয়েরা শিখেছিলো বন্ধুত্ব। শুধু বন্ধুত্বই নয় তার গানে উঠে আসে প্রেম, ভালোবাসার ও বিরহের গল্পও। তিনি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে। জিঙ্গেল দিয়ে শুরু তার, আশা ছিলো একজন বড় মাপের প্লেব্যাক সিঙ্গার হবার। পরর্বতীতে সে স্বপ্ন পুরণও করেছেন কেকে। ভিন্নধারার গায়কীর মাধ্যমে অল্প সময়েই তিনি চলে আসেন আলোচনার শীর্ষে।
৯০ এর দশকে বলিউড মাতানো এ শিল্পী ১৯৬৮ সালে ভারতের নিউ দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন কিরোরিমাল কলেজ থেকে। এরপর ১৯৯৪ সালে সঙ্গীতের টানে তিনি চলে যান মুম্বাইতে। তার ডাক আসে ইউটিভিতে। যেখানে তাকে নেয়া হয় জিঙ্গেল শিল্পী হিসেবে। সে সময় তিনি ৩৫০০ জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন।
এরপর বেশকিছু তেলেগু সিনেমায় প্লেব্যাক করার পর ১৯৯৯ সালে সনি মিউজিক থেকে প্রকাশ পায় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘পাল’। লেসি লুইসের সঙ্গীত পরিচালনায় এ অ্যালবামের ‘পাল’, ’আপ কি দুয়া’, ‘ইয়ারো দোস্তির’ মত গানগুলো খুব কম সময় পেয়েই যায় জনপ্রিয়তা।
এখন পর্যন্ত তিনি ৫০০টির মত হিন্দি গান এবং ২০০টির মত অন্যান্য ভাষার গান গেয়েছেন। ২০০৫ সালে তামিল ভাষায় বেস্ট প্লেব্যাক সিঙ্গার নির্বাচিত হন তিনি। এরপর আবার আলোচনায় আসেন বাজরাঙ্গি ভাইজান এর ‘তু যো মিলা’ গানটির মাধ্যমে। এখন পযর্ন্ত এ শিল্পীর ঝুলিতে জমেছে বেশকিছু অ্যাওয়ার্ডস যার মধ্যে দুটি স্ক্রিন ও একটি গোল্ডেন ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস পান। তবে দু:খের বিষয় ৮ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসে নমিনেশন পেয়েও একবারও সেটি তার ভাগ্যে জোটেনি।
এ বছর মে আসের ৩০ তারিখে সবাইকে কাঁদিয়ে কেকে চলে যান না ফেরার দেশে। কলকাতার নজরুল মঞ্চে চলছিলো কনসার্ট করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয় সেদিন। তার মৃত্যু নিয়েও অনেক জল ঘোলা হয়েছে বলিপাড়ায়।
তার মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে হয়েছে তিনটি মামলাও। মামলাগুলো এখনো চলমান। তবে পরিবারের সদস্যরা সব ভুলে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মেনে নিয়েছেন কেকের প্রয়াণকে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকেরাও কেকে’র মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই দাবি করেন।
কেকে বিখ্যাত আলভিদা গানের কথাগুলো যে সত্যে পরিণত হবে তা কে-ই বা জানতো। তার মৃত্যুর পর আজ তার প্রথম জন্মদিন। বেঁচে থাকলে আজকের দিনটি হয়তো তার জন্যে একটু অন্য রকম হতো। শুভ জন্মদিন কেকে।
/এসএইচ



Leave a reply