Site icon Jamuna Television

প্রকল্পে দুর্নীতিসহ নলডাঙ্গার মেয়রের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নাটোরের নলডাঙ্গার পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনির।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, নাটোর:

বিধি ভেঙে মেয়রই করছেন ঠিকাদারি। উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মসহ আরও নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নাটোরের নলডাঙ্গা পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে। প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কাউন্সিলরা। তবে সব ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনির।

নলডাঙ্গা পৌরসভায় চলছে সাড়ে তিন কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মৌসুমী ট্রেডিং। অভিযোগ উঠেছে, বিধি অমান্য করে সেই কাজটি কিনে নিয়েছেন মেয়র মনিরুজ্জামান মনির। নিজেই করছেন ঠিকাদারী। ঠিকাদার রইস উদ্দিন রুবেল বলেন, এই কাজ ক্রয় করে ৫ জন পার্টনার মিলে আমরা শুরু করি। এই কাজে পার্টনার হিসেবে নাটোরের নলডাঙ্গার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির রয়েছেন।

মেয়রের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রকল্পের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ আরও নানা দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন খোদ কাউন্সিলররাই। প্রতিকার চেয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, দুদকসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।

পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দের কাছে জানা গেলো অভিযোগগুলো সম্পর্কে। মশক নিধনের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে মেয়র মনিরের নামে। বিল্ডিং রঙ করার নামেও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। মেয়র মনিরের সাথে কাউন্সিলরদের কোনো সমন্বয় নেই বলেও জানান তারা। একজন কাউন্সিলর জানালেন, তার ওয়ার্ডে ৫ লাখ টাকার কাজ হয়েছে, কিন্তু তিনি নিজেই জানেন না। তাছাড়া, কাউন্সিলররা সই দিতে অস্বীকৃতি জানালে মেয়র তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে মারধোরের হুমকি দেন। এছাড়া শোনা গেছে একটা কুঁড়েঘর করে দিতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবির অভিযোগও।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র। তিনি দাবি করেন, পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার রটাচ্ছে। নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বলেন, কাউন্সিলররা অনেক সময়ই আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দাবি করে। সেসব সুযোগ-সুবিধা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছি বলেই এমন অভিযোগ করা হয়েছে। দুই-দুইবার অভিযোগ দিয়েছিল। পরে তারা সেসব প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্যমতে, আইন অনুযায়ী কোনো মেয়রের ঠিকাদারি করার সুযোগ নেই। বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন নাটোর স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ নাদিম সারওয়ার। কাউন্সিলদের সাথে সমন্বয় ছাড়া কাজ করলে মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার সুযোগ রয়েছে, এমনটি জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, খোঁজ করবো, খতিয়ে দেখবো। যদি কোনো প্রকল্পে কোনো ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়, তবে অবশ্যই আইনানুগভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন হলে তা নেবো।

/এম ই

Exit mobile version