Site icon Jamuna Television

পর্দায় আসছে ম্যাডোনার বায়োপিক, নিজেই করছেন পরিচালনা

মার্কিন পপসম্রাজ্ঞী ম্যাডোনা লুইস। তবে সবার কাছে তিনি ম্যাডোনা নামেই পরিচিত। নিজের অন্যন্য গায়কি ও রুপের গুনে তিনি স্থান পেয়েছেন অগণিত দর্শক হৃদয়ে। এবার তার জীবনী আসছে বড় পর্দায় আর এই সিনেমা পরিচালনা করছেন সঙ্গীতশিল্পী নিজেই।

গত ৪০ বছরের বেশি সময় সঙ্গীতজগতের সঙ্গে যুক্ত আছেন মার্কিন পপশিল্পী ম্যাডোনা। এ মাসেই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ‘ফাইনালি এনাফ লাভ: ফিফটি নাম্বার ওয়ানস’ নামক একটি রিমিক্স অ্যালবাম বাজারে ছাড়ছেন তিনি। একই সঙ্গে চলছে তার আসন্ন বায়োগ্রাফির কাজ।

যেখানে উঠে আসবে শিল্পীর জীবনের সমস্ত কাহিনি। মাত্র ২৫ বছর বয়সে, ১৯৮২ সালে সঙ্গীতের দুনিয়ায় পা রাখার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন তিনি। একজন পপ তারকা হিসেবে যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে দেশপ্রেমহীনতাসহ নানা ধরনের হয়রানিরও শিকার হয়েছেন এই পপ তারকা।

১৯৮০’র দশকে নিজের মিউজিক ভিডিওতে ক্রুশ পুড়িয়েছিলেন তিনি। যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনেক বিতর্ক। ১৯৯০’র দশকে ‘সেক্স’ নামের একটি বই প্রকাশ করেন। সেখানে হোমোসেক্সুয়ালিটি ও ফেটিশিজম নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা ও যথেষ্ট খোলামেলা ছবি প্রকাশ করেন। যা নিয়েও আলোচনা কম হয়নি হলিউডে।

কিন্তু এসবের মাঝেও তার ভালো অ্যালবামের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। চার দশকের ক্যারিয়ারে ম্যাডোনা ১৪টির মতো অ্যালবাম বের করেছেন। ২৫ কোটির মতো রেকর্ড বিক্রি হয়েছে তার। ইতিহাসের বেস্ট-সেলিং নারী সঙ্গীতশিল্পী তিনি।

সঙ্গীতজীবনের শুরুতে তাকে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে প্রিন্স, মাইকেল জ্যাকসন, ব্রুস স্প্রিংসটিন, ফিল কলিনস, জর্জ মাইকেল, ইউটুর মতো বিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে। কীভাবে এত বড় বড় শিল্পীদের টপকে হয়ে উঠেছেন একজন পরিপূর্ণ নারী সঙ্গীতশিল্পী তারই নানা ধরনের গল্প এবার উঠে আসবে রূপালি পর্দায়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ম্যাডোনা নিজের বায়োগ্রাফির ঘোষণা দেন। সেখানে বলেন, অনেক মানুষই আমাকে নিয়ে সিনেমা বানাতে চাচ্ছিলেন, এদের বেশিরভাগই নারীবিদ্বেষী। তাই আমি নিজেই নিজের গল্প পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চাই।

এদিকে, বায়োপিকে ম্যাডোনার চরিত্রে অভিনয় করবেন জুলিয়া গার্নার। খুব শীঘ্রই বড় পর্দায় মুক্তি পাবে বায়োপিকটি।

/এডব্লিউ

Exit mobile version