Site icon Jamuna Television

রেলস্টেশনে হামলার দায় স্বীকার রাশিয়ার, জাতিসংঘে বিবাদ রুশ-ইউক্রেন প্রতিনিধির

শক্তিশালী ইস্কেন্দার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে ইউক্রেনের চ্যাপলিনে। রেলস্টেশনে হামলার দায় স্বীকার করে এমনটি জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, ট্রেনটিতে করে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করা হচ্ছিলো। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনীয় সেনা বাহিনীর ২শ সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি মস্কোর। এদিকে জাতিসংঘে এই ইস্যুতে বিবাদে জড়ান ইউক্রেন ও মস্কোর প্রতিনিধি। খবর রয়টার্সের।

চ্যাপলিন রেলস্টেশন এবং এর সংশ্লিষ্ট এলাকার ধ্বংস্তুপগুলোর মধ্যে এখনও চলছে তল্লাশি। আশা যদি মেলে নিহতদের দেহাবশেষ। বুধবারের ওই হামলার পর এখনও নিখোঁজ বেশ কয়েকজন।

স্টেশন লক্ষ্য ছোড়া শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে ট্রেনে। বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পুড়ে যায় যাত্রীবাহী ট্রেনের বেশকিছু বগি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় শিশুসহ বেশ কয়েকজনের। শুরুতে হামলার দায় অস্বীকার করলেও এখন মস্কো বলছে ওই ট্রেনটিতে অস্ত্র বহন করছিলো ইউক্রেনীয় বাহিনী। হামলায় বেসামরিক নাগরিক নয় বরং ২শ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার।

এ বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, চ্যাপলিন রেলস্টেশনে অবস্থানরত একটি সামরিক ট্রেনে ইস্কান্দার মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। দোনবাসের পূর্বাঞ্চলে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিলো ট্রেনটি। যাচ্ছিল এটি। মিসাইলের সরাসরি হামলায় ২শরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ ইউনিট সামরিক সরঞ্জামও ধ্বংস করা হয়েছে।

এদিকে রেলস্টেশনে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশেষ অধিবেশন বসে জাতিসংঘে। এসময় তুমুল বিবাদে জড়ায় রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধি। ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি সের্গেই কিস্লিতসা বলেন, বেসামরিক এলাকায় এবং যাত্রীবাহী ট্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রাশিয়ার আর কোনো যুক্তিই প্রযোজ্য নয়। এটা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একটি দেশে পুরোদস্তুর সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে এভাবে হাজারো বেসামরিক নাগরিক হত্যা করাটা সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন।

অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজায়া বলেন, সংঘাত বন্ধ কিংবা আলোচনার পথ রুদ্ধ করার জন্য কিয়েভই দায়ী। পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছেন। উল্টো শর্ত দিচ্ছেন রুশ সেনা সরানো না হলে কোনো সমঝোতা হবে না। এভাবে কখনো আলোচনা হতে পারে না।

এরআগে, ইউক্রেনে অভিযানের জন্য সেনা সংখ্যা আরও ১০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এটিএম/

Exit mobile version