Site icon Jamuna Television

চড়ামূল্যের মাংস নেই সাধারণের খাবারের তালিকায়; চাহিদা নেমেছে অর্ধেকে

চড়ামূল্যের বাজারে রাজধানীতে গরুর মাংসের চাহিদা অর্ধেকে নেমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানীর ঈদের পর থেকে বাড়তে শুরু করে গরু ও খাসির মাংসের দর। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাংসের দামে প্রভাব ফেলেছে। তবে ভোক্তা অধিকারের অভিযানের প্রভাবে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ক্রেতাদের দাবি, মাংস এখন আর নিত্য আহারের তালিকায় নেই।

খাদ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে দামের আঁচ বেশ তীব্রভাবে লেগেছে মাংসের দোকানে। কোরবানির ঈদের পর এমনিতেই বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছিল গরু আর খাসির মাংস। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর আরও এক দফা বেড়েছে গরু আর খাসির মাংসের দাম। এক কেজি গরুর মাংসের জন্য গুণতে হবে ৭শ’ থেকে ৭শ’ ২০ টাকা। আর খাসির মাংসের স্বাদ নিতে চাইলে দিতে হবে ৯শ’ থেকে থেকে এক হাজার টাকা। চড়া দামের মাংস এখন আর সাধারণের নিত্য আহারের তালিকায় নেই। অতিথি আপ্যায়ন কিংবা উৎসবে অনেকটা বাধ্য হয়েই চড়া দামের মাংস কিনতে হচ্ছে। এমন ক্রেতারাই জানালেন, চাকরিজীবীদের পক্ষে এখন আর দেড় কেজি মাংস বা ইলিশ মাছ কেনার অবস্থা নেই।

বিক্রেতারা বলছেন, চড়ামূল্যের বাজারে মাংসের চাহিদা অর্ধেকে নেমেছে। কোরবানির ঈদের পর একদিকে গরু-খাসির সরবরাহ কমেছে। অন্যদিকে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে গরু প্রতি পরিবহন খরচ বেড়েছে প্রায় দু’হাজার টাকা। আর এসব কারণে দাম নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যাচ্ছে। একজন বিক্রেতা বলেন, মানুষ কত টাকা উপার্জন করে যে ১ কেজি মাংস ৭০০ টাকা দিয়ে কিনবে! আগে ৬-৭টা গরুর মাংস বানাতাম। এখন বানাই ১টি। সেই ১টাই চারজন ভাগ করে বিক্রি করি। এখন আর মানুষের খাওয়া নেই।

গরু-খাসির মাংস কেনার সামর্থ্য যাদের নেই, তাদের স্বস্তির জায়গা ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু সেখানেও আছে দামের উত্তাপ। কেজিতে ১৫ টাকা কমলেও, এখনও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার ১৮৫ টাকা এবং লেয়ার মিলছে ২৯০ টাকায়। আর এক কেজি কর্ক এর জন্য গুণতে হবে ৩২০ টাকা। ৪৫০ থেকে ৫শ’ টাকা কেজিতে নিতে হবে দেশি মুরগি।

খানিকটা কমেছে ডিমের দাম। বাজারগুলোতে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। যদিও পড়া-মহল্লায় দাম আরও বেশি। তবে দেশি মুরগি এবং হাসের ডিম ১৮০ টাকা ডজনে অপরিবর্তিত আছে। বাজারে নতুন দরের সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৪৫ টাকায়।

আরও পড়ুন: দামের উত্তাপ মশলার বাজারে

/এম ই

Exit mobile version