Site icon Jamuna Television

সংঘাতের পথে রাজনীতি: ‘পরিস্থিতির অবনতি হলে কূটনৈতিক চাপ বাড়তে পারে’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আরও প্রায় সোয়া এক বছর। কিন্তু এর আগেই উত্তপ্ত রাজনীতি। শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দলই মুখোমুখি রাজপথে। ঘটছে একের পর এক হামলা-সহিংসতা। এ অবস্থায় সামনে রাজনৈতিক সংকট বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। এতে বাড়তে পারে কূটনৈতিক চাপও। এক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো সমঝোতার পথও দেখছেন না তারা।

এদিকে, নির্বাচনকালীন সরকার, দ্রব্যমূল্য ও জ্বালানির দাম নিয়ে ধারাবাহিক বিক্ষোভ, সমাবেশে সরব বিএনপি। অন্যদিকে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজপথে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও। আর এতে বেড়েছে সংঘাত। এ অবস্থায় সামনের রাজনীতি আরও সংকটময় হওয়ার আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মারামারি-কাটাকাটি, প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা-আগুন দেয়া বাড়তে পারে। মানুষের মধ্যে অস্থিরতা, অসন্তোষ এটা সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। কিছু লোক বিপদগামী হতে পারে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি খুব একটা অনুকূলে নয়। আমাদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিও সুখকর নয়। কেননা, অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে মানুষ বসবাস করছে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে সামনে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক চাপ আরও বাড়তে পারে বলে মত তাদের।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক তারা চায় এবং দেখতে পাচ্ছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন এভাবে হওয়ার ফলে বাংলাদেশে অস্থিরতা-সহিংসতা বাড়ছে।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আমাদের নানা উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করতে পারে। এটা করো, ওটা করো। জাতিসংঘের মানবিধকার বিষয়ক হাইকমিশনার রোহিঙ্গা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে খুব একটা উদ্বেগ আছে বলে মনে করেন না। আর তাই মানবধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচনের আগে অন্যান্য রাষ্ট্র খুব একটা ফায়দা লুটতে পারবে বলে করছেন না তিনি।

শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল যখন নিজ নিজ অবস্থানে অনঢ়, তখন সামনে সমঝোতার কোনো পথ কী খোলা আছে?

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনই একমাত্র নয়; শান্তিপূর্ণভাবে, আইনানুগভাবে ও সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা বদলের পথ। যদি সমাধান করতে হয়, একক দলের পক্ষে নয়। ক্ষমতাসীন দল চাইলেও এটা পারবে না। এটা সমাধান করতে হলে রাজনৈতিক সমঝোতা দরকার।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আমরা সবসময় চাইবো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিরসন হোক।

অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রধান দুই দলকে দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

/এমএন

Exit mobile version