Site icon Jamuna Television

দর্শকের গালিতে নয়, প্রেক্ষাগৃহে ‘লাইগার’ দেখে নিজেই বিরক্ত বিজয়

ছবি: সংগৃহীত

‘লাইগার’ নিয়ে এত নেতিবাচক চর্চার মাঝে এবার সবাইকে চমকে দিলেন ছবির নায়ক নিজেই। এ ছবি শুধু যে দর্শকদের ভালো লাগেনি তা নয়, হায়দ্রাবাদের এক প্রেক্ষাগৃহে ‘লাইগার’ দেখতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডা নিজেই। ছবি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে নয়, জানালেন কাঁদছিলেন ছবির দৈন্যদশা দেখেই। চূড়ান্ত ফলাফল এমন হবে তিনি নাকি ভাবেননি। বলিউডে নিজের প্রথম অভিনয় দেখে বিজয় নিজেই হতাশ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

খবরে বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট মুক্তির পরই হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে ‘লাইগার’। প্রেক্ষাগৃহ ফাঁকা। যারা ছবিটি দেখেছেন তাদের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে ভরে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। অনেকেই বলেছেন, নায়িকা অনন্যা পাণ্ডের দুর্বল অভিনয় বেশি করে চোখে পড়ছে সবার। সেই সঙ্গে দুর্বল চিত্রনাট্য এবং চিত্রগ্রহণ- সব মিলিয়েই বক্স অফিসে ধরাশায়ী পুরী জগন্নাথ পরিচালিত ‘লাইগার’।

দক্ষিণী তারকা বিজয় বলিউডে আত্মপ্রকাশ করলেন। সবার ধারণা ছিল বিজয়ের ছবি দর্শকদের মন জয় করবে কিন্তু কোটি দর্শকের হৃদয় ভেঙেছেন নায়িকা অনন্যা পাণ্ডে। ছবি ব্যর্থ হওয়ার পিছনে চিত্রনাট্যের দৈন্য যতটা রয়েছে, দর্শক তার চেয়েও বেশি দায়ী করছেন অনন্যাকে।

বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখে টিকিটের টাকা ফেরত চাইলেন ক্ষুব্ধ দর্শক। তাদের দাবি, অনন্যাকে এ ছবিতে নেয়া উচিত হয়নি। অভিনয়টা তিনি একেবারেই করতে পারেননি। এতদিন অনন্যার নিন্দায় ভেসে যাচ্ছিল লাইগার-সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্ট। এবার নিজের ছবি দেখে কান্নাকাটি করে হাসির পাত্র হয়ে উঠলেন বিজয়ও।

বলিউডের শেষ কয়েকটি ব্যর্থ ছবির সঙ্গে যদি ‘লাইগার’ এর তুলনা করা যায়, তাহলে দেখা যাবে এ ছবি বক্স অফিসের আয়ের দিক থেকেও তলানিতে। ‘লাল সিংহ চাড্ডা’ এবং ‘রক্ষা বন্ধন’ এর প্রথম দু’দিনের আয় যেখানে ছয় থেকে নয় কোটি টাকা ছিল, সেখানে ‘লাইগার’ সাড়ে চার কোটিও পের হতে পারেনি। আইএমডিবিতেও ‘লাইগার’ এর রেটিং দেখলে চমকে উঠতে হয়। ১০ এর মধ্যে ১.৭! যেখানে আমির খানের ‘লাল সিংহ চাড্ডা’ ৫, অক্ষয় কুমারের ‘রক্ষা বন্ধন’ ৪.৬, তাপসী পান্নুর ‘দোবারা’ ২.৯ এবং রণবীর কাপুরের ‘শামশেরা’ ৪.৯ রেটিং পেয়েছে। এটি আইএমডিবিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম রেটিং পাওয়া ভারতীয় ছবি। মাত্র ১৬ হাজার ৫৫১ জন দর্শক ভোট দিয়েছেন এই ছবিকে।
আরও পড়ুন: একটি গাছেই প্রায় ৬ হাজার টমেটো ফলালেন চাষি
ইউএইচ/

Exit mobile version