Site icon Jamuna Television

মহাকাব্যিক হ্যাটট্রিকে স্পেনকে ঠেকালো রোনালদো

এ কী অসাধারণ ম্যাচ দেখলো ফুটবল বিশ্ব! এবারের বিশ্বকাপের প্রথম হাইভোল্টেজ ম্যাচ ছিল এটি। তাতেই যেন ফুটবল সৌন্দর্যের সকল পসরা মেলে বসলো পর্তুগাল-স্পেন ম্যাচ। এমনকি বিশ্বকাপ শেষেও এটি সেরা প্রতিযোগিতাপূর্ণ ম্যাচের স্বীকৃতি পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।

বি-গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু থেকেই ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। ম্যাচ একবার পর্তুগালের দিকে হেলে তো আবার সমতা, খানিক পরে দেখা গোলো স্পেনই রাজত্ব করছে। শেষের দিকে এসে কী এক আশ্চর্য মহাকাব্যিক ফ্রি-কিকে পুরো ম্যাচটি নিজের করে নিলো কি্রস্টিয়ানো রোনালদো। ৩-৩ গোলে শেষ হলো খেলা।

ম্যাচের শুরুতে দারুণ আক্রমণ থেকে গোল করতে না পারলেও পরের মিনিটে বাঁ প্রান্তে রোনালদোর দুর্দান্ত আক্রমণ। বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢোকার মুখে সিআর সেভেনের জাদুতে বিভ্রমে নাচো। বাজে ট্যাকলে পেনাল্টি দিয়ে বসলেন। তাতে ভুল করলেন না রোনালদো। ম্যাচের ৪ মিনিটেই এগিয়ে গেলো পর্তুগাল।

এর ধারাবাহিকতায় প্রথম ২০ মিনিট জুড়ে মুহুর্মুহু আক্রমণ করলো পর্তুগাল। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা স্পেনে। পাল্টা আক্রমণে কস্তার পায়ে বল। দুর্দান্ত কাটিয়ে স্পেনকে ম্যাচে ফেরালেন। খেলার তখন ২৪ মিনিট। এরপর পাল্টাপাল্টি আক্রমণের অনুপম প্রদর্শনী। ৪৪ মিনিটের সময় আবারও পর্তুগালকে এগিয়ে নিলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এতে অবশ্য স্পেনিশ গোল রক্ষক ডেভিড গিয়ার ভুলও কম ছিল না। উত্তেজনাকর প্রথমার্ধ শেষ হলো ২-১ ব্যবধানে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্পেন। ৫৫ মিনিটে সময় দারুণ এক পাসে দুর্দান্ত টাইমিং ডিয়েগো কস্তার। ম্যাচে সমতা ফেরায় স্পেন(২-২)।

৩ মিনিট পরই দারুণ আরেকটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে ‘পাপমোচন’ করে নাচো। ইসকো, সিলভার পায়ের কারুকাজ থেকে পাওয়া বল অসাধারণ দক্ষতায় জালে পাঠায় এই ডিফেন্ডার।

এরপর খেলায় যেন স্পেনের একক আধিপত্য। শেষ সময়ে এসে স্পেনের ডি-বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় পর্তুগাল। যথারীতি কিক নিবেন সিআর সেভেন। সারা স্টেডিয়াম দেখছে, সিআর সেভেন বড় বড় করে দম নিলেন, ছাড়লেন। তারপর, বলে পা ছুঁয়ে ‘মহাকাব্য’ রচনা করলেন,
স্পেনিশ রক্ষণদুর্গ ভেঙে বল চলে গেলো জালে। সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন রোনালদো। ৩-৩ এর রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ হলো হাইভোল্টেজ ম্যাচটি।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version