
সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালিয়ে পালিয়েছে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমন অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত স্ত্রীর নাম কানিজ ফাতেমা বাধন। তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহত কানিজ ফাতেমার মা ও বোনেরা জানান, প্রায় সাত বছর আগে বাধন প্রেম করে বিয়ে করেন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুভ করদী গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে শিপলুকে। বিয়ের পর থেকে শিপলু, তার মা সুমিনা বেগম, বাবা জজ মিয়া ও বোন মিলে যৌতুকে দাবিতে নানাভাবে বাধনের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো।
সম্প্রতি শিপলু আইপিএলের জুয়া খেলতে গিয়ে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সমবায় সমিতি ও সংস্থা থেকে কিস্তির টাকা তোলে। আজ ছিল কিস্তি পরিশোধের তারিখ। কিন্তু কিস্তির টাকা জোগাড় না হওয়ায় শিপলু বাধনকে নিয়ে কয়েকটি দোকানে গিয়ে টাকা ধার চায়। ধারণা করা হচ্ছে, টাকা না পাওয়ায় বাধনকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয়া হয়। টাকা জোগাড় না করায় নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যার পর বাধন ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে প্রচার করে।
বাধনের মা অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে কোনো অবস্থাতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যার পর আমাদের জানায় আত্মহত্যা করেছে। লাশ ঘরের ভেতর ফেলে রেখে স্বামী ও তার মা-বাবা, বোন পালিয়ে গেছে। বাধন যদি ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে থাকে তবে ফ্যানে ওড়না বা রশির দাগ থাকতো। আমরা খবর পেয়ে ঘরে গিয়ে এমন কোনো আলামত দেখিনি।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। স্বামী ও স্বজনরা পালিয়ে থাকা বিষয়টি সন্দেহজনক। স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জেডআই/



Leave a reply