Site icon Jamuna Television

প্রশিক্ষণের নামে প্রতারণা, নারীদের ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও

স্টাফ করেসপনডেন্ট, টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পৌরসভায় গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেন্টার নামের একটি ভুয়া সংস্থা প্রতারণার ফাঁদ পেতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের নামে নারীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এমন ভুয়া সংস্থাটির পরিচয় এবং নাম ঠিকানা যাচাই বাছাই না করে পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেন সদর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এদিকে পৌরসভার মেয়র বলছেন, যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টাঙ্গাইল শহরের ময়মনসিংহ রোডে সাবালিয়া এলাকায় ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনের ৪ তলায় রাসেল মিয়া নামের এক ব্যক্তি একক মালিকানাধীন গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেন্টার স্থাপিত করেন চলতি বছরের আগস্টের ২৩ তারিখে।

তিন মাস প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা থাকলেও মাত্র দু’দিন প্রশিক্ষণ দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় গ্রীণ বাংলা নামে সংস্থাটি। এছাড়াও সনদপত্র এবং সেলাই মেশিন দেয়াসহ যেসকল প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং শর্ত দিয়ে নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি করা হয়েছে তার কোনো কর্মকাণ্ড না করে মাত্র দু’দিনেই প্রতারণার শিকার হন প্রশিক্ষণার্থীরা।

প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হওয়া বিভিন্ন জায়গার ভুক্তভোগীরা জানান, গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি সংস্থা দর্জি, ব্লক বাটিক ও মাশরুম প্রশিক্ষণের নাম করে তিন মাসের কোর্সে ভর্তি আবেদন ফরম বাবদ প্রথমে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৭০০ টাকা করে নেন। পরবর্তীতে তারা ভর্তি ফি বাবদ দু’শ ৫০ টাকা করে নেন। এভাবে তারা প্রায় এক-দেড়শ নারী ভর্তি হন। এছাড়াও কোনো ধরনের জামানত ছাড়া ঋণ দেবে বলে চার থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা নেন জনপ্রতি। সপ্তাহে শুক্র ও রোববার দু’দিন ক্লাস করার কথা। পরে তিন মাসের জন্য তারা ভর্তিও হন।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, গেলো ১ তারিখ থেকে দু’দিন সংস্থাটির কর্মকর্তারা প্রদশর্নীমূলক ক্লাস করান। দুইদিন ক্লাসের পর থেকে তাদের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি তাদের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

যাচাই বাছাই না করে ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার অভিযোগ করলে পৌরসভার মেয়র বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, যদি এ ধরনের অভিযোগ থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেন্টারের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসা বাবদ থানায় নেয়ার ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ছালাম বলেন, মালিক বর্তমানে পলাতক রয়েছে। সংস্থাটিতে কর্মরত কর্মচারীদের থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এটিএম/

Exit mobile version