ভারতকে হারিয়ে কি আজই এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারবে শ্রীলঙ্কা? ইতিহাস বলছে, কাজটা কঠিন। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভারতের কাছে ৭ বার টি-টোয়েন্টি হেরে লঙ্কানরা জয় পেয়েছে মাত্র ৩ বার। এর মধ্যে দুইটি জয়ই লঙ্কানরা পেয়েছে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ভারত যখন কাগজে-কলমে তাদের ‘সি’ টিম খেলিয়েছিল। তবে এশিয়া কাপ থেকে ভারতের বিদায় অনেকটা নিশ্চিত করার সক্ষমতা আছে লঙ্কানদের। তিনটি ফর্মুলা অনুযায়ী, এই ম্যাচে লঙ্কানদের হিসেবের বাইরে রাখা হবে বোকামি।
১। লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডার:
লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারে কোনো তারকা নেই। এবং এর দৈর্ঘ্য দেখা গেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ম্যাচে। কুশল মেন্ডিস আছেন দারুণ ফর্মে। এই আসরে শ্রীলঙ্কান সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। এছাড়া পাথুম নিশাঙ্কা, দানুশকা গুনাতিলাকা এবং ভানুকা রাজাপাকসে এ পর্যন্ত দেখিয়েছেন, হার্ড হিটার হিসেবে কার্যকর অবদান রাখতে পারেন তারা সবাই। তাদের সাথে অধিনায়ক দাসুন শানাকারও রয়েছে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলার সক্ষমতা।
২। স্পিন আক্রমণ:
স্পিন আক্রমণে পরিষ্কারভাবেই ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকবে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা একাদশেরই সেরা খেলোয়াড়। ইকোনমি রেট ভালো হলেও উইকেট নেয়ায় এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত সামর্থ্যের শতভাগ দেখাতে পারেননি এই বোলিং অলরাউন্ডার। রহস্যময় বোলার মাহেশ থিকসানা তো পারফরমেন্সের দিক দিয়ে হাসারাঙ্গার চেয়েও এগিয়ে। এই দুই বোলারের দারুণ পারফরমেন্সের কারণে দলের পার্ট টাইমারদেরও কাজে লাগাতে হয়নি শানাকার। হাই স্কোরিং ম্যাচগুলোতেও প্রতিপক্ষের রানের গতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেন না এই দুই স্পিনার।
৩। রান তাড়া করা:
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত আগে ব্যাট করে লঙ্কানরা দুই ম্যাচ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ১১টিতে। অন্যদিকে, এই সময়েই রান তাড়া করে তারা জিতেছে ৭ ম্যাচ, আর হেরেছে ৪টিতে। চলতি এশিয়া কাপেও দেখা গেছে সেই প্রতিফলন। প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০৫ রানে অলআউট হয় দাসুন শানাকার দল। এরপর বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে যথাক্রমে ১৮৪ ও ১৭৬ রান তাড়া করে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। তাই এই ম্যাচে টস পালন করতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আরও পড়ুন: ক্যাচ ফেলায় আর্শদীপকে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীর সঙ্গে তুলনা!
/এম ই

