Site icon Jamuna Television

বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে সিমেন্টের উইকেট বানাচ্ছে বিসিবি

নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ আর অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা প্রস্তুতি নিতে মিরপুর একাডেমি মাঠে সিমেন্টের উইকেট তৈরি করছে বিসিবি। টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে নতুন উইকেট। এমনটি বলছেন ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস। ভবিষ্যতে অ্যাস্ট্রো টার্ফ উইকেট তৈরির পরিকল্পনাও আছে বোর্ডের।

টি-টোয়েন্টির মেগা ইভেন্ট, যেমন বিশ্বকাপ কিংবা এশিয়া কাপের মতো আসরগুলোতে দর্শকদের রান উৎসবের সুযোগ করে দিতে করা হয় ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। সেখানে বোলারদের জন্যও থাকে কিছু সহায়তা। এই ধরনের উইকেটকে বলা হয় স্পোর্টিং উইকেট। কিন্তু এই কন্ডিশনে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্স খুব একটা সুখকর নয়। প্রত্যাশিত বড় স্কোর হয় না, সেই সাথে ব্যাটিং সহায়ক কন্ডিশনে বোলাররাও মানিয়ে নিতে পারেন না। এশিয়া কাপের দুই ম্যাচের মতোই মোস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন, এবাদতদের এক-দুইটি খরুচে ওভারে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

সেই সমস্যার সমাধানে ওল্ড স্কুলে ফিরে যাচ্ছে বিসিবি। বাংলাদেশের লো স্কোরিং উইকেট থেকে মুক্তি পেতে মিরপুরে বানানো হচ্ছে সিমেন্টের পিচ। এই পিচে বল বাউন্স হলেও তা নির্দিষ্ট লেভেলে থাকায় রান করার সুযোগ পায় ব্যাটাররা। ঠিক নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের মতো। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস বলেন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার উইকেটের মতো সিমেন্টের উইকেটে বল স্কিড করবে, যেমনটা দেখা যায় ফ্ল্যাট এবং বাউন্সি উইকেটে।

মিরপুরের একাডেমি মাঠে ইট, সিমেন্টে, পাথর, বালু দিয়ে দ্রুত উইকেট তৈরিতে ব্যস্ত কর্মিরা। লক্ষ্য একটা ১২ সেপ্টেম্বর ক্যাম্প শুরু আগেই সম্ভব হলে উইকেট প্রস্তুত করা। কিন্তু আসলেই এই উইকেট থেকে কতটা উপকৃত হবে ক্রিকেটাররা? ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার আর জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস দিলেন এই ব্যাখ্যা। তিনি বলেন, আমরা ভুলে যাই, বোলারদেরও কিন্তু ওই কন্ডিশনে বল করা অভ্যাস করতে হবে। আমাদের ব্যাটার ও বোলাররা যে কন্ডিশনে খেলতে যাবে, সেই কন্ডিশনেই প্রস্তুতি নিতে পারবে।

পরিকল্পনা আরও আছে। সিমেন্টের উইকেটের পর একাডেমি মাঠেই করা হবে অ্যাস্ট্রো টার্ফের এমন উইকেট। সবুজ গালিচার মতো এমন পার্ফ সবানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিসিবি। এই উইকেটে থেকে পাওয়া যাবে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের স্বাদ।

/এম ই

Exit mobile version