Site icon Jamuna Television

পণ্যমূল্য বেধে দেয়ার উদ্যোগ; উৎপাদক ও আমদানিকারকের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি

ক্রেতার নাগালে নেই নিত্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পণ্য। অনেক ক্ষেত্রে অযৌক্তিক কারণেও বাড়ানো হচ্ছে পণ্যের দাম। সাধারণ মানুষদের স্বস্তি দিতে নয়, পণ্যের দাম বেধে দেবে সরকার। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সে কার্যক্রমও। ডাল এবং আটার আমদানি, উৎপাদন শুল্কসহ সার্বিক তথ্য চেয়েছে ট্যারিফ কমিশন। পর্যায়ক্রমে বাকি পণ্যের তথ্য নিয়ে নির্ধারণ হবে দাম।

পণ্যের প্রকৃত যে দাম, তার চেয়ে বেশি দামে কেনার অর্থই হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। বৈশ্বিক এবং অভ্যন্তরীণ কারণে বাড়ছে পণ্যের দাম। যা কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে নানা সময়ে কারসাজির প্রমাণ পেয়েছে সরকার। দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা তুলছে অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এমন অবস্থায়, ৯ পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার। চিনি এবং ভোজ্যতেলের দাম আগে থেকেই নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন নতুন করে দাম বেধে দেয়া হবে আরও ৭ পণ্যের।

কনজ্যুমার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন মালেক বলেন, বাজার সঠিকভাবে মনিটরিং না করলে যতোই দাম বেধে হোক না কেনো তা কোনো কাজে লাগবে না। মনিটরিং মানেই যে মহাখালি কাঁচা বাজার বা শুধু কারওয়ান বাজার তা নয়। দাম বেধে দেয়া মানে আপনাকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজারেও মনিটরিং করতে হবে। এটা করার সক্ষমতা এখন যদি সরকারের না থাকে তাহলে শুধু দাম বেধে দেয়াটা যৌক্তিক হবে না। মানুষকে যদি ওএমএসের আওতায় আনা হয় তাহলে কিন্তু দাম বেধে দেয়ার দরকার হবে না। তখন দাম কমে যাবে এবং সরকারকে এক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে না।

এরই মধ্যে গমের আমদানি ((জিএফএক্স)) এবং আটা ময়দার মিলিং খরচের তথ্য চেয়েছে ট্যারিফ কমিশন। এক্ষেত্রে উৎপাদক, আমদানিকারক এবং সংশ্লিষ্ট সমিতির কাছে ১১টি তথ্য জানাতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

সট : এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

শুধু গমই নয়, পৃথক চিঠির মাধ্যমে মশুর ডালের আমদানি ব্যয় এবং মিলিং খরচের তথ্য চেয়েছে ট্যারিফ কমিশন। এক্ষেত্রে উৎপাদক, আমদানিকারক এবং সংশ্লিষ্ট সমিতির কাছে ১০টি তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে এ সংস্থা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, ইমপোর্টের ক্ষেত্রে কাঁচামালের দাম কতোটা বেড়েছে তা অ্যানালাইসিস করে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হবে। মূল্য নির্ধারণের পর আমাদের কাজ হবে বাজারে তার প্রভাব কীভাবে পড়ছে তা দেখা।

পর্যায়ক্রমে আরও ৫টি পণ্যের তথ্য জানতে চাইবে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়াধীন এ প্রতিষ্ঠান।

/এসএইচ

Exit mobile version