Site icon Jamuna Television

রাজবাড়ীতে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য।

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

রাজবাড়ী সদরের চন্দনী ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আছে, সরকারি বরাদ্দের ঘর ও বিভিন্ন ভাতা কার্ড দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ফলে ধারকর্য করে টাকা দিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে দরিদ্র পরিবারগুলো।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম। ভ্যানচালক স্বামীর সামান্য আয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কোনো রকমে তার সংসার চলে। পরিবারটির অভিযোগ, ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য নার্গিস আক্তার নির্বাচিত হওয়ার দেড় বছর আগে সরকারি বরাদ্দের ঘর আর প্রতিবন্ধী কার্ড দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা নেন। সেই সময় নার্গিস মহিলা ভাইস চেয়ারপারসনের সাথে চলাফেরা করতেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ঘর কিংবা প্রতিবন্ধী কার্ড কোনোটিই পায়নি দরিদ্র পরিবারটি।

একই অভিযোগ অটোরিকশা চালক ইব্রাহিম মোল্লারও। তার দাবি, ঘর দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেন নার্গিস। তিনি বলেন, ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ঘর দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে নার্গিস। সেই ঘর তো দেয়ইনি, উল্টো টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছে।

সরকারি বরাদ্দের ঘর ও বিভিন্ন ভাতা কার্ড দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ইউনিয়নের ৩০ থেকে ৪০টি দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নেয়ার অভিযোগ আছে জনপ্রতিনিধি নার্গিসের বিরুদ্ধে। যাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন ছাড়া কেউই কোনো সুবিধা পাননি।

ভুক্তভোগীদের অনেকেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। এ নিয়ে চন্দনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি অনেকবার তাকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য তাগিদ দিই। এতেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি।

তবে, সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বলেন, আমার নামে যদি অভিযোগ করে থাকে, আপনি সঠিক তথ্য নিয়ে ও সঠিক বিষয়টি খোঁজ নিয়ে নিউজ করে দেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্জিয়া সুলতানা।

এসজেড/

Exit mobile version