
কার্লোস অ্যাসেভেদো। ছবি: সংগৃহীত
মেক্সিকোর শীর্ষ ফুটবল লিগে একই দিনে দুই গোলকিপারের কাকতালীয় গোলে শেষ মুহূর্তে ড্র হয়েছে দুটি ম্যাচ! গোল দুটি করেছেন পুমাসের গোলরক্ষক জুলিও গঞ্জালেস ও স্যান্তোসের কার্লোস অ্যাসেভেদো। দু’টি গোলই হয়েছে অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে কর্নার কিক থেকে আসা বলে হেডের মাধ্যমে।
ফুটবলে গোলরক্ষকের কাজ কি? এক বাক্যের উত্তর, গোল বাঁচানো। তবে কখনও কখনও গোলদাতা হয়ে ম্যাচ বাঁচানোর ভূমিকায় দেখা যায় গোলরক্ষকদের। আর এই প্রসঙ্গে হোসে লুই চিলাভার্টের নামটা আসবে ফুটবলপ্রেমীদের মনে।
এমন ভূমিকাকে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে মেক্সিকোর শীর্ষ পেশাদার ফুটবল লিগ লিগা এমএক্স’এ টলুকা বনাম পুমাসের ম্যাচ। ২-১’এ এগিয়ে থাকা টলুকা তখন জয়ের উল্লাস থেকে মিনিটখানেক দূরে। শেষ মুহূর্তে পুমাস পেয়ে যায় একটি কর্ণার কিক। নিজেদের সমতায় ফেরাতে মরিয়া পুমাসের গোলরক্ষক জুলিও গঞ্জালেসও চলে আসেন ডি বক্সের মধ্যে। দানি আলভেজের দুর্দান্ত ক্রসে গঞ্জালেসের ম্যাজিকাল হেড পুমাসকে বাঁচায় লাস্ট মিনিট ইকুয়ালাইজারে।

মেক্সিকান ফুটবলের জন্য দিনটি ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে আরও এক কাকতালীয় কারণে। এ দিন লিগের আরেক ম্যাচে একইভাবে কর্নার কিক থেকে শেষ মুহূর্তের হেডে কোয়েরতারোর বিপক্ষে স্যান্তোসকে সমতায় ফেরান আরেক গোলরক্ষক কার্লোস অ্যাসেভেদো।
গোলকিপারদের মেসি বলা হয় রজেরিও সেনিকে। শুধু সাও পাওলোর হয়ে খেলেই ১৩১ গোল করেছিলেন রজেরিও। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় প্যারাগুইয়ান গোলরক্ষক চিলাভার্টের গোল সংখ্যা ৬৭। বিশ্বের একমাত্র গোলরক্ষক হিসেবে হ্যাটট্রিক আছে তার। ৯৪ বিশ্বকাপে রঙিন বাহারি জার্সিতে ব্যাপক আলোচিত ছিলেন ছোটখাটো গড়নের মেক্সিকান গোলরক্ষক হোর্হে কাম্পোস। ৪৬ বার প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়েছেন এই কিংবদন্তি।
আরও পড়ুন: লেভাকে ঘিরে বায়ার্ন-বধের স্বপ্ন দেখছে বার্সা
/এম ই



Leave a reply