Site icon Jamuna Television

মাছ-মাংসের বাজারে নৈরাজ্য, কিছুটা স্বস্তি ইলিশে

ছবি: সংগৃহীত।

মূল্যবৃদ্ধির ছোঁয়া সর্বত্র। এর আঁচ লেগেছে মাছ ও মাংসের বাজারেও। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়েছে। সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে গরু ও খাসির মাংসও। তবে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বাজারে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জোয়ারে বাজারে মুরগির ডিমের দামও এখন আকাশ ছোঁয়া। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের ডজন ১৫-২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। মহল্লাভেদে কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ডিমের পাশাপাশি বাদ যায়নি মুরগির মাংসের দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির কেজি এখন ৩২০ টাকা।

স্বস্তি নেই গরু-খাসির মাংসের বাজারেও। বাজারে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংসের জন্য গুনতে হবে ৯০০ টাকা। অনেক ক্রেতা সাধারণের কাছে এখন আমিষের চাহিদা পূরণ করা বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিম ও মাংস কেনা কমিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা পোল্ট্রি ফিড ও পরিবহণ খরচ বাড়ার অজুহাত দিচ্ছেন।

এদিকে, ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে বাজারে। আকার ভেদে কেজিতে দাম কমেছে ১০০ থেকে দেড়শ টাকা। অবশ্য নদী ও চাষের মাছের বাজারে দাম এখনও বেশ চড়া। ক্রেতারা বলছেন, দাম কিছুটা কমলেও এখনও সহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়নি ইলিশের দাম। বিক্রেতাদের দাবি, ইলিশের যোগান বাড়তে থাকলে চাষের মাছের দামেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে রুই, কাতল ও পাঙ্গাসের দামও ঊর্ধ্বমুখী।

এসজেড/

Exit mobile version