Site icon Jamuna Television

বিশাল ছক্কা, দ্রুতগতির বোলিংয়ের প্রত্যাশায় বায়োমেকানিক্স ওয়ার্কশপ

স্পোর্টস সায়েন্সের গুরুত্ব বিবেচনায় মিরপুরে চলছে তিন দিনব্যাপী স্পোর্টস বায়োমেকানিক্স ওয়ার্কশপ। ভারতের ছত্তিশগড় থেকে উড়ে এসেছেন বিসিসিআই’র ট্রেইনার ড. রতনেশ সিং। বায়োমেকানিক্সের প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারলে ৯০ মিটারের বড় ছক্কা কিংবা ১৪০ কি.মি. গতিতে বল করার সক্ষমতা তৈরি হবে বলে মনে করেন বিসিবির সহকারী কোচরা।

স্পোর্টস সায়েন্স শব্দটা এদেশের ক্রীড়াঙ্গনে কিছুটা দুর্বোধ্য হলেও উন্নত বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। ক্রিকেটের সঙ্গে এই সায়েন্সের যোগাযোগ সঠিকভাবে ঘটলে খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্ব ক্রিকেটের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে তাই বিসিবি আয়োজন করেছে তিন দিনের স্পোর্টস বায়োমেকানিক্স ওয়ার্কশপ। এতে অংশ নিচ্ছেন স্থানীয় কোচরা।

ভারতের ছত্তিশগড়ের ফিজিক্যাল এডুকেশনের সহকারী অধ্যাপক ড. রতনেশ সিংকে উড়িয়ে আনা হয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্কশপের জন্য। ড. রতনেশ ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির ফিটনেস ট্রেনার হিসেবেও সুপরিচিত। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রশংসা করেন তিনি। ড. রতনেশ সিং বলেন, সব দিক থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট উন্নতি করেছে। এটা শুধু খেলোয়াড় নয়, সবার যৌথ প্রচেষ্টা বলা যায়। আমি বলছি না শুধু বায়োমেকানিক্সই পারফরমেন্স বদলে দেবে। এটা নির্ভর করে ডায়েট প্ল্যান, শারীরিক সক্ষমতা সবকিছুর উপর। আমি আশা করি, সামনের দিনগুলোতে জুনিয়র ও সিনিয়র ক্রিকেটে বাংলাদেশ এসব সঙ্গী করেই এগোবে।

ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামিদের মতো ক্রিকেটারদের বেঙ্গালুরু ন্যাশনাল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন রতনেশ। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সক্ষমতা কতটা বাড়াতে পারবে এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করা কোচরা? বায়োমেকানিক্সের সঠিক জ্ঞান খেলোয়াড়দের উন্নতিতে কতটা কাজে লাগতে পারে, এ বিষয়ে বলেছেন বিসিবির কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের মান বৃদ্ধিতে এই বিষয়টি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। কারণ, বায়োমেকানিক্স কাজই করে মানুষের শরীর নিয়ে। এ ব্যাপারে যদি আমরা আরও বেশি করে জানতে পারি, তবে হয়তো বা খেলোয়াড়দের উপর এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা কেবল শুরু। সামনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কীভাবে পাওয়া যাবে সেটা ভাবতে হবে। বড় বড় ছক্কা হাঁকানো কিংবা ১৪০ কি.মি. গতিতে বল করতে পারার সক্ষমতা তৈরিতে কতটা কার্যকরী হতে পারে এই বায়োমেকানিক্স প্রশিক্ষণ? জানতে চাওয়া হয়েছিল ওয়ার্কশপে অংশ নেয়া বিসিবি কোচ মাহবুব আলী জ্যাকির কাছে। তিনি বলেন, ৪০০ মাসল নিয়ে আমি আর কাজ করবো না। কারণ, এই কাজ করা হয়েছে। তাই, কোন মেজর মাসল বা শারীরবৃত্তীয় কোন জায়গায় কাজ করলে আমরা ১৫০ কি.মি. এর বেশি গতি তুলতে পারবো, বা ৯০ মিটারের ছয় মারতে পারবো, এবং দ্রুত থ্রো করতে পারবো সেটা জানা যাবে।

আরও পড়ুন: ‘এবার বিশ্বকাপে দেখা যাবে দেশি আম্পায়ার’

/এম ই

Exit mobile version