Site icon Jamuna Television

ফের বেড়েছে চালের দাম

মাত্র সপ্তাহ খানেক স্থিতিশীল থাকার পর ফের অশান্ত হয়ে উঠছে চালের বাজার। চড়ামূল্য আগেই ছিল, এবার আরেক দফা দাম বাড়লো। পাইকারি পর্যায়ে মোটা-চিকন সব ধরনের চালের দাম নতুন করে বস্তা প্রতি বেড়েছে একশো থেকে দেড়শো টাকা। এর প্রভাবে খুচরা বাজারে কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা করে। চালের এমন দফায় দফায় দাম বৃদ্ধিতে নাজেহার সীমিত আয়ের ক্রেতারা।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৪ টাকায়। নাজির শাইল ৮০ থেকে ৮২ টাকায়। আর এই মুহূর্তে বাজারে সবচেয়ে কমদামি চাল হলো বিআর-২৮। এক কেজি বিআর-২৮ চালের জন্য গুনতে হবে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা।

দেশের বৃহত্তম সরু চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে মিল গেট থেকে এখন ৬৯ টাকা কেজি দরে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে এ চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭১ টাকা কেজি। ধানের দাম বেশি থাকায় চালের দাম কমছে না বলছেন মিল মালিকদের নেতারা।

অবশ্য এর আগে, চালের বাজার সহনীয় রাখার জন্য সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে আমদানি বাড়াতে বড় অংকের শুল্ক ছাড় দেয় সরকার। পাইকারি বিক্রেতাদের অভিযোগ, শুল্ক ছাড়ের সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা। আশানুরূপ চালের আমদানি হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাদের। এই সুযোগে মিলারদের পাশাপাশি বড় কয়েকটি কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে চালের বাজার।

এ নিয়ে আড়তে আড়তে তদারকি বাড়ানোর দাবি মিল মালিকদের। বলছেন, সাধারণত ২ সপ্তাহের জন্যে মিল গেটে দাম নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আড়তে ইচ্ছে অনুসারে দাম উঠানামা করে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, আমরা একটি রেট দিয়ে দিই এবং এই রেটেই ১০-১৫ দিন আমরা চাল বিক্রি করি। কিন্তু আড়তদারদের কাছে গিয়ে যে দাম বেড়ে যাচ্ছে এটা দেখভালের কোনো লোক নেই।

গত ৮ সেপ্টেম্বর আতপ চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আতপ চাল আমদানি কমতে থাকে।

এসজেড/

Exit mobile version