Site icon Jamuna Television

ধর্ষণের শিকার মার্কিন কিশোরীর কারাদণ্ড, ধর্ষককে হত্যা করায় দেড় লাখ ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

বিচারপতি ও সাজাপ্রাপ্ত কিশোরী। ছবি: সংগৃহীত।

পাচার ও একাধিকবার ধর্ষণের শিকার পিপার লুইস নামের এক মার্কিন কিশোরীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মার্কিন আদালত। সেই সাথে নিজের ধর্ষককে হত্যার দায়ে ধর্ষকের পরিবারকে ১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ অন্যথায় আরও ২০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে। মার্কিন আদালতের এমন বিচার নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পোল্ক কাউন্টি জেলা জজ ডেভিড এম পোর্টার এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত লুইসের বয়স এখন ১৭ বছর। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডেস মইনসে ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় ভুক্তভোগী লুইসের বয়স ছিল ১৫ বছর। দত্তক নেয়া মায়ের সাথে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন লুইস। এরপরই পাচারকারীর খপ্পড়ে পড়েন তিনি। ওই সময় জাচারি ব্রুকস নামের ২৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে।

লুইসকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছিল ব্রুকস। এতে তার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন লুইস। এর কিছু দিন পর ঘুমন্ত ব্রুকসকে পরপর ৩০ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন তিনি। আদালতে অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড এবং ইচ্ছাকৃত আঘাতের জন্য দোষ স্বীকার করে লুইস। এর দায়েই তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করেছেন আদালত।

জানা গেছে, রায় ঘোষণার সময় লুইসকে পাচার বা ধর্ষণ সম্পর্কে কোনো কথাই বলেননি বিচারক। তার যুক্তি ছিল, ছুরিকাঘাত করার সময় ব্রুকস ঘুমিয়ে ছিলেন। তাই তাৎক্ষণিকভাবে লুইসের কোনো বিপদ ছিল না। এছাড়া ব্রুকসকে হত্যার কারণে তার বাচ্চারা পিতৃহীন হয়েছে। লুইস যেমন নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করছে তেমনি বাচ্চাগুলোরও কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এই রায় এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে।

এসজেড/

Exit mobile version