Site icon Jamuna Television

বাগেরহাটে সরকারিভাবে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণা, গ্রেফতার প্রতারক

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সরকারিভাবে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে বাগেরহাট পৌর সভার সোনাতলা এলাকা থেকে প্রতারণার হোতা মো. ফিরোজ আলী খন্দকার (৪৫) গ্রেফতার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন।

গ্রেতফার মো. ফিরোজ আলী খন্দকার (৪৫) গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার নোয়াদা এলাকার মৃত মোকসেদ আলী খন্দকারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। নিজেকে বাগেরহাট সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দিতেন তিনি।

সদর উপজেলার মুক্ষাইট এলাকার চা দোকানি আলামিন হোসেন জনি নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, কিছুদিন পূর্বে ফিরোজ খন্দকারের সাথে আমার পরিচয় হয়। তিনি আমাকে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমি রাজি হলে অনলাইন আবেদন, মেডিকেল টেস্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবদ ১২ হাজার টাকা নেন। পরে তার দেয়া একটি একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে বললে আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি আমাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। আমাদের এলাকার আরও কয়েকজনের সাথে এমন প্রতারণা করেছেন তিনি।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদ হাসান বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তি বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২০-২৫ জন ব্যক্তিকে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে কানাডা, রোমানিয়া, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন। এ বাবদ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য বাগেরহাট থেকে ২২০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশ যেতে পারবে বলে প্রচার চালাতে থাকেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে ব্যাংক চেক জমা দিতে বলেন এবং পরবর্তীতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা ঋণ পাইয়ে দেয়ারও আশ্বাস দেন।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ বেশ কিছুদিন ধরে তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এটিএম/

Exit mobile version