Site icon Jamuna Television

শেকল ভাঙার গানে সাবিনা-কৃষ্ণারা ফেরালেন আলফাজ-জুয়েলদের স্মৃতি

দেশের ফুটবলে সোনালী অতীতের কথা মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এতোদিন বয়সভিত্তিক স্তর ঘিরেই ছিল সকল অর্জন। সাফ সেরার মুকুট পরে সাবিনা-কৃষ্ণারা ফেরালেন আলফাজ-জুয়েলদের স্মৃতি। রক্ষণশীলতার পর্দা ছিঁড়ে মেয়েরা শোনালেন শেকল ভাঙার গান।

২৩ বছর আগে এমনই এক দিনে আলফাজ-জুয়েলরা সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেছিলেন। এরপর বিদেশের মাটি থেকে ট্রফি নিয়ে ফিরে আসার এমন দিন আর ফেরেনি বাংলাদেশের ফুটবলে। সাবিনা-কৃষ্ণারা দেশের ফুটবলের অর্জনকে নিয়ে গেলেন হিমালয়ের চূড়ায়।

১৯৭৭ সালে ফুটবলে পা পড়েছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। মেয়েরা হাফ প্যান্ট পরে মাঠে খেলবেন এটাই মেনে নিতে চাইতেন না অনেকে। সেই রক্ষণশীলতার পর্দা ছিঁড়ে প্রয়াত কোচ সাহেব আলী ভিকারুননিসা নূন স্কুলের মেয়েদের নিয়ে শুরু করেন প্রথম ফুটবল অনুশীলন। সেই মেয়েদের ফুটবলেই এখন গর্বিত লাল-সবুজের পতাকা।

২০০৪ সালে বয়সভিত্তিক ফুটবল দিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে পা ফেলার পর এতদিন পর্যন্ত নারী ফুটবল দলের সাফল্য ছিল মূলত ঐ বয়সভিত্তিক স্তরেই। ২০১৫-১৬ মৌসুমে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ ও অনূর্ধ্ব-১৬ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭’র চূড়ান্ত পর্বে উত্তরণ ঘটে।

২০১৭ সালে ঢাকায় প্রথম অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী দল। ২০১৮ সালে হংকংয়ে চার জাতি কাপ জয়ের পর ভুটানে জয় করা হয় অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ শিরোপা। ২০১৯’এ বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে লাওসের সাথে যৌথ চ্যাম্পিয়ন কিংবা ২০২১’র ডিসেম্বরে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ টুর্নামেন্টের বিজয়ীর নাম বাংলাদেশ বয়সভিত্তিক নারী দল।

তবে ২০১৬ সালে শিলিগুড়িতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হওয়া ছাড়া বড় কোন অর্জন ছিল না জাতীয় দলের জার্সিতে। হিমালয়ের দেশে সাফ চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে এবারে রানির বেশে ফুটবলের সোনালী অতীত ফেরালো সাবিনা-কৃষ্ণারা।

আরও পড়ুন: ম্যাচ শেষের ঘণ্টা দুয়েক পর ঘুম ভাঙলো বাফুফের, শুভেচ্ছা জানিয়ে নেই কোনো পোস্ট!

/এম ই

Exit mobile version