Site icon Jamuna Television

নারী ফুটবলের বিরোধিতা করা এলাকাবাসীই এখন স্বপ্নার জন্য গর্বিত

সিরাত জাহান স্বপ্নার চড়াই-উতরাই'র গল্প।

মা ধান ভাঙার কাজ করে মেয়েকে বানিয়েছেন ফুটবলার। সেই সিরাত জাহান স্বপ্না মা ও দেশকে এনে দিলেন সাফ শিরোপা। তার এমন অর্জনে আনন্দের সীমা নেই রংপুরের নয়াপুকুর গ্রামে। এরকম মুহূর্তেই স্বপ্নার আত্মীয় জানালেন, মেয়েকে ফুটবল খেলতে দিয়েছেন বলে মানুষের অসংখ্য কটূক্তি শুনতে হয়েছে তাদের।

ভারতের বিপক্ষে জোড়া গোল করা রংপুরের মেয়ে সিরাত জাহান স্বপ্নার জেলা রংপুরে হয়েছে আনন্দ উদযাপন। এরই মধ্যে স্বপ্নার এক আত্মীয় বলেন, মেয়েকে খেলতে দিছি বলে পুরো গোষ্ঠীই নাকি দোযখে যাবে! মানুষ এসব কয়! আমরা বেহেস্তে যাবো না, দোযখেই নাকি যাবো!

সিরাত জাহান স্বপ্নার মা বলেন, ধান ভাঙার ব্যবসা করে মেয়েদের বড় করেছি। আমি স্বামী খাটতে পারে না। এখনও পারেন না। আমার মেয়ে কোথাও হারেনি। সব জায়গায় জিতেছে। আমার মেয়ে এখন বাংলাদেশের ভালো খেলোয়াড়। দশ নাম্বার জার্সি পরে সে।

স্বপ্নার নামে এলাকায় হয়েছে আনন্দ মিছিল। সেখানে বাংলাদেশের ‘নাম্বার টেন’ স্বপ্নার নামে দেয়া হয় স্লোগান। এলাকাবাসীও জানান তাদের আনন্দ ও গর্বের কথা। তারা বলেন, এটা তাদের জন্য পরম সৌভাগ্য, বড় এক সম্মান, বড় এক পাওয়া। এলাকাবাসী স্বপ্নার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

এক সময় যে সমাজ ছিল নারী ফুটবলের অন্তরায়, সময়ের বিবর্তনে সেই সাবিনা-স্বপ্নাদের অর্জনে আজ সম্মানিত তাদের নিজ নিজ এলাকা।

আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়নদের বরণ করতে প্রস্তুত হচ্ছে ছাদখোলা বাস

/এম ই

Exit mobile version