Site icon Jamuna Television

যুদ্ধে যেতে বাধ্য করতে পারে সরকার, আতঙ্কে রাশিয়া ছাড়ছেন অনেকে

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে রিজার্ভ ফোর্সের তিন লাখ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেয়ার পরপরই দেশ ছাড়ছেন অনেক রুশ নাগরিক। সীমান্ত বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় আগেভাগেই দেশ ছাড়ছেন তারা। সরকার যুদ্ধে যেতে বাধ্য করতে পারে এই আতঙ্কেই মূলত দেশ ছাড়ছেন অনেকে।

সম্প্রতি জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে আরও ৩ লাখ সেনা মোতায়েন করবে পুতিন। অনেকের আশঙ্কা, রুশ প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তের পর যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে দেশটির সীমান্ত। আগ্রাসন অব্যাহত রাখতে পুতিন সরকার তরুণদের যুদ্ধে যেতে বাধ্য করতে পারে, এই ভেবেও আতঙ্কিত অনেকে।

বিপুল সংখ্যক সাধারণ রুশ নাগরিক এ যুদ্ধ চায় না। তবে পুতিন সরকারের বিরুদ্ধেও কথা বলার সাহস নেই তাদের। তাই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন তারা। ইউলিয়া নামে এক রুশ নাগরিক বলছেন, এখনও আমি বিশ্বাস করতে পারছি না আমার দেশ যুদ্ধ করছে। কেন এই যুদ্ধ তাও আমি জানি না। আমি এই যে গণমাধ্যমে কথা বলছি সেটা নিয়েও ভয় পাচ্ছি। আমার দেশের সরকার এবং পুলিশ এই ভিডিও দেখবে। এতে আমি সমস্যায় পড়তে পারি। আমি ইউক্রেনের স্বাধীনতা চাই। দয়া করে কেউ পুতিনকে থামান।

অন্য এক রুশ নাগরিক বলছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মনে হয়েছে এটা করা দরকার। আমরা এমন পরিস্থিতিতে আছি পুতিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্যও করতে পারি না। প্রেসিডেন্ট এটি বলেছেন তার মানে আমাদের মেনে নিতে হবে, এটিই ঠিক।

যারা দেশ ছাড়ছেন তাদের অনেকের গন্তব্য সার্বিয়া। দেশটিতে যেতে রুশদের ভিসার প্রয়োজন হয় না। এছাড়া রাশিয়ার ওপর সার্বিয়ার কোনো নিষেধাজ্ঞাও নেই। তাই মস্কো-বেলগ্রেড রুটে এয়ার সার্বিয়ার ফ্লাইটের আগামী কয়েকদিনের সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে।

ইউক্রেনে পুতিন আগ্রাসন শুরু করার পরই অবশ্য অনেকে সার্বিয়া পাড়ি জমিয়েছেন। গেলো সাত মাসে অন্তত ৫০ হাজার রুশ নাগরিক এ দেশটিতে বসবাস শুরু করেছেন।

/এডব্লিউ

Exit mobile version