Site icon Jamuna Television

অনুপ্রেরণা জোগাতে দলকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাতেন কোচ ছোটন

বাংলাদেশের হেড কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন।

নারীদের সাফ জয়ের মূল কারিগর কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও প্রস্তুত করেছেন সাবিনা-কৃষ্ণাদের। অনুপ্রেরণা যোগাতে শোনাতেন ৭১’র মুক্তিযোদ্ধাদের কথা। প্রতিটি ম্যাচের আগেই নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন ছোটন। দিনশেষে মেয়েরা দিয়েছে তাকে অনন্য এক উপহার।

লাল-সবুজের দেশে নতুন এক ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ জয় করেছে সাবিনা-কৃষ্ণারা। যার হাত ধরে মেয়েরা এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন তার নাম গোলাম রাব্বানি ছোটন। শত বাধা পেরিয়ে নানা কটূক্তি শুনে তৈরি করেছেন সানজিদা-আঁখিদের মতো খেলোয়াড়দের।

একটা সময় ছিল যখন অনেকেই তাকে ‘মেয়েদের কোচ’ বলে ঠাট্টা করতো। আর এখন তারাই বাহবা দিচ্ছেন সাবিনা-কৃষ্ণাদের কারিগরকে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো বিসর্জন দিয়ে এই কোচ তৈরি করেছেন আজকের রিতুপর্না-মারিয়াদের। বাংলাদেশের হেড কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর আমি বাইরে থাকি। বিয়ের ৭-৮ বছর হয়েছে আমার। কিন্তু এক-দুইবার ছিলাম ঢাকায়। বাকি সব সময়ই ছিলাম দেশের বাইরে। কখনও নেপাল, কখনও ভুটান, কখনও উজবেকিস্তানে। মেয়েরা এবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, আমার ম্যারেজ ডে’তে ভালো কিছু উপহার দেবে। সেটাই মেয়েরা দিয়েছে, বিশাল একটা উপহার।

শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও সাবিনাদের শক্তিশালী করে গড়ে তুলেছেন কোচ। প্রতিটি ম্যাচের আগে মেয়েদের অনুপ্রেরণা যোগাতেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বার আগে শুনিয়েছিলেন। ৩০ লাখ শহীদের বীরত্বের কথা। গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, নেপালের মাটিতে গিয়ে তাদের হারানোর ক্ষমতা যে মেয়েদের আছে, তা জাগিয়ে তোলাই ছিল জরুরি। আমরা কোচিং স্টাফরা সে কাজটাই করেছি। মেয়েরাও প্রতিটি ম্যাচেই তার প্রতিফলন দেখিয়েছে।

সাবিনাদের জয়ে কখনোই খুব একটা উদযাপন করতে দেখা যেত না এই কোচকে। কিন্তু এবার তা উপভোগ এবং উদযাপন করেছেন প্রাণ খুলে।

আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে থামাতে হয়েছিল যার বিয়ে, সেই স্বপ্নার অপেক্ষায় রংপুরবাসী

/এম ই

Exit mobile version